সমকালীন প্রতিবেদন : রেশন দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ফের উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার প্রতিবাদী যুবক বরুণ বিশ্বাস খুনের প্রসঙ্গ নতুন করে উঠে এলো। এদিন এব্যাপারে নতুন করে মুখ খুললেন বরুণ বিশ্বাসের দিদি এবং এলাকার মানবাধিকার কর্মী।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দীর্ঘ তল্লাশী এবং জেরার পর অবশেষে গভীর রাতে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এরপর শুক্রবার দুপুরে তাঁকে কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়।
আর সেখানে বিচারক তাঁকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ইডির হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পর আদালতের ভেতরেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান জ্যোতিপ্রিয়। পরিবারের ইচ্ছে অনুযায়ী পরে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে নতুন করে মুখ খুলতে শুরু করেছেন গাইঘাটার প্রতিবাদীরা। প্রায় ১১ বছর আগে গাইঘাটার সুটিয়া এলাকার বাসিন্দা, শিক্ষক বরুণ বিশ্বাস দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন। আর এই খুনের পেছনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত রয়েছে বলে নতুন করে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন বরুণ বিশ্বাসের দিদি প্রমিলা রায় বিশ্বাস।
এদিকে, এদিন গাইঘাটার মানবাধিকার কর্মী নন্দদুলাল দাসও বরুণ বিশ্বাস খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। তিনিও অভিযোগ করেন, বরুণ খুনের ঘটনার পেছনে হাত রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রীর। এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে একাধিক অভিযোগ তোলেন।
একই এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, তাঁর জীবনে এবং তাঁর বিরুদ্ধে যতগুলি পুলিশি কেস হয়েছে, তার অধিকাংশের পেছনে জ্যোতিপ্রিয়র হাত রয়েছে।
এদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেপ্তার ঘটনার প্রেক্ষিতে এদিন গাইঘাটার চাঁদপাড়ায় মিছিল করে বিজেপি। সেখানে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কুশপুতুল দাহ করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন