Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩

গাজার সীমান্ত পেরিয়ে একটু একটু করে ভেতরে ঢুকছে ইজরায়েল সেনার ট্যাঙ্ক

Israeli-army

সমকালীন প্রতিবেদন : চারিদিকে সাদা-কালো ধোঁয়া, কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠছে আগুন, গাজা ভূখণ্ডের ছবি এখন এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। লাগাতার গোলাবর্ষণ হয়েই চলেছে গাজায়। সপ্তাহজুড়ে হুঁশিয়ারির পর এবার গাজার মাটিতে ঢুকেই হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। 

হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে হামলার শক্তি আরও বাড়ানো হবে বলেই জানিয়েছে ইজরায়েল। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে মূলত উত্তর গাজায় হামলা চালাচ্ছিল ইজরায়েলি সেনা। এবার সেই অভিযান আরও বড় মাপের এবং ভয়াবহ হতে চলেছে বলেই সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। 

এবার দক্ষিণ গাজাতেও অভিযান চালানো হবে। হামাসের সঙ্গে কথা বলেও পণবন্দিদের মুক্তি নিয়ে কোনও সদর্থক ফল না মেলার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। গাজা জুড়ে হামাসের যে গোপন ঘাঁটি এবং সুড়ঙ্গগুলি রয়েছে, তা ইজরায়েলি সেনার যুদ্ধবিমান এয়ারস্ট্রাইক চালিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে, পাল্টা হুমকি দিয়েছে হামাসও। তারা জানিয়েছে, গাজায় তাদের সেনা ইজরায়েল বাহিনীকে পূর্ণ শক্তি নিয়ে আক্রমণ করবে। ইজরায়েলের হামলার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। অর্থাৎ যুদ্ধ যে এবার আরও ভয়াবহ হতে চলেছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। 

এদিকে, ইজরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকেই যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রায় ২৩ লক্ষ মানুষ গোটা বিশ্ব থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। ফলে সেখানে একপ্রকার থমকে দাঁড়িয়ে রয়েছে জনজীবন। এখনও গাজার সাধারণ মানুষের দিন কাটছে আতঙ্কে এবং মৃত্যুভয়ে। 

এদিকে, এই যুদ্ধ নিয়ে চিন্তায় গোটা বিশ্ব। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের নেতারা ইতিমধ্যেই গাজার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই ভূখণ্ডে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য অবিলম্বে সামরিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন তারা। 

সেই সঙ্গে ইজরায়েলের উপর হামাসের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু আন্তর্জাতিক সাবধান বার্তার মাঝেও যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি ফেরাতে রাজি নয় ইজরায়েল বা হামাস কেউই। যুদ্ধ শেষ না হলে তো ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাবে দুই দেশ। তাতে হয়তো লাভ কারোরই কিছু হবে না। 






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন