সমকালীন প্রতিবেদন : গত ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। তাতে এখনও পর্যন্ত ৭ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে গিয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি।
এর আগে, যুদ্ধ চলাকালীন কখনও এত শিশুর প্রাণহানি ঘটেনি গাজায়। তাই এই যুদ্ধ ক্রমেই যে নৃশংসতার রূপ নিচ্ছে, তা পরিস্থিতি থেকেই স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে। বুধবারও গাজায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। আর বৃহস্পতিবারও ঘটল তেমনটাই। এবার গাজায় ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ শুরু করল ইজরায়েল।
সূত্রের খবর, যুদ্ধের ২০তম দিনে স্থলপথে হামলা শুরু করেছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। বৃহস্পতিবার গাজায় ঢুকে পড়ে ইজরায়েলের সাঁজোয়া বাহিনী এবং সেনা। আইডিএফের দাবি, হামাসের ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি রকেট লঞ্চিং প্যাড এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, একের পর এক ট্যাঙ্ক গাজা সীমান্তের প্রাচীর গুঁড়িয়ে দিয়ে ঢুকে পড়ছে। উত্তর গাজায় এবার আরও বড় হামলার সঙ্কেত দিয়েছে আইডিএফ। তার প্রথম ধাপই শুরু হয়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে।
তবে এই হামলা ছিল সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য। গাজায় ঢুকে হামাসের বেশ কিছু ডেরা গুঁড়িয়ে দিয়ে আবার ফিরে এসেছে ইজরায়েলি বাহিনী। এদিকে, ইজরায়েলি সেনার এই আগ্রাসনকে ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা বিশ্বে।
ইহুদি সেনার এই ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ প্রসঙ্গে আমেরিকাকেই দায়ী করেছে ইরান। সেদেশের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাআলি খামেনেই অভিযোগ তুলেছেন, আমেরিকার অঙ্গুলিহেলনেই হামাসের উপর হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল।
এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আত্মরক্ষার বাহানা আর খাটে না ইজরায়েলের ক্ষেত্রে। বুক ফুলিয়ে, সকলের চোখের সামনে গাজায় শোষণ, গণহত্যা, বর্বরতা এবং নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।' শুধু এই দুই দেশই নয়, বাহারিন, মিশর, জর্ডন, কুয়েত, মরক্কো, ওমান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও তীব্র সমালোচনা করেছে ইজরায়েলের।
পশ্চিমি দেশগুলির পূর্ণ সমর্থনে ইজরায়েল গাজায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে চলেছে, গণহত্যা করছে বলে মন্তব্য করেছে সিরিয়া। কিন্তু এই যুদ্ধ শেষ কবে হবে? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন