সমকালীন প্রতিবেদন : আজ ১২ দিনে পড়ল ইজরায়েল–হামাস যুদ্ধ। হামাসের আক্রমণে আগেই বিপর্যস্ত হয়েছে ইজরায়েলের সিংহভাগ। এর মধ্যেই লেবানন থেকে আক্রমণ শুরু করেছে শিয়া জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লা। গাজার পাশাপাশি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে ইজরায়েল-লেবানন সীমান্তও।
ফলে যতদিন যাচ্ছে তীব্র হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের লড়াই। তবে মধ্য প্রাচ্যের এই যুদ্ধে এবার চিন্তা বাড়ছে ভারতের। কারণ, ইজরায়েল-লেবানন সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে কয়েকশো ভারতীয় জওয়ান। কেন তারা মোতায়েন রয়েছেন সেখানে? দেখুন।
গোটা বিশ্বের শান্তি প্রক্রিয়া যাতে বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরেই স্থাপিত হয় রাষ্ট্রসংঘ এবং তার নিরাপত্তা কমিশন। আর এই রাষ্ট্রসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন সেনা হিসেবে ইজরায়েল-লেবানন সীমান্তে মোতায়ন রয়েছে ৯০০ ভারতীয় সেনা।
অন্যদিকে, ইজরায়েল-সিরিয়া সীমান্তেও মোতায়েন রয়েছেন ২০০ ভারতীয় সেনা। ইজরায়েল সীমান্তে ওইসব সেনা রয়েছেন ১৯৭৮ সাল থেকে। ওইসব ভারতীয় সেনাকে মোতায়েন করা হয়েছে ব্লু লাইনে।
গত কয়েক দশকে ইজরায়েল-লেবানন সীমান্তের এই জায়গা থেকেই ইজরায়েল ও হিজবুল্লার সংঘাতের শুরু হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সংঘর্য যাতে না হয়, তা দেখাই ভারতীয় সেনার কাজ।
তবে এবার এই ১১০০ ভারতীয় সেনাকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে দেশের। কারণ, বর্তমান ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ পরিস্থিতি দিনের পর দিন যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে এটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, দুপক্ষেরই টার্গেট হয়ে যেতে পারে ভারতীয় সেনারা।
কারণ, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রাণহানি কোনও নতুন ঘটনা নয়। অন্তত পরিসংখ্যান তেমনটাই বলছে। ২০২২ সালেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ৪২০৭ সেনার মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ভারতীয় সেনার সংখ্যা ছিল ১৭৫। এখন লেবানন এবং ইজরায়েলের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় সেনা। ফলে খুব সহজেই তাঁরা আক্রমণের মধ্যে পড়ে যেতে পারে।
এদিকে, এই যুদ্ধ পরিস্থিতি সামলাতে আজই ইজরায়েল যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিটেন্ট জো বাইডেন। তার আগেই ফের ইজরায়েলকে সতর্ক করলেন তিনি। মঙ্গলবার সন্ধেয় একটি অনলাইন বার্তা প্রকাশ করে বাইডেন লিখেছেন, 'ঘৃণা ছাড়তে হবে'।
ওই বার্তায় বাইডেন লিখছেন, ইতিহাস বারবার আমাদের শিখিয়েছে সেমেটিক ধর্মের বিরোধিতা এবং ইসলামোফোবিয়া ও সব ধরনের ঘৃণা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। যে কোনও ধরণের ঘৃণাকে আমাদের ত্যাগ করতে হবে। তবে আমেরিকার এই হস্তক্ষেপ কি আদৌ যুদ্ধকে থামাতে সক্ষম হবে? হয়তো উত্তরটা লুকিয়ে রয়েছে সময়ের হালখাতায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন