সমকালীন প্রতিবেদন : নয় নয় করে দুই সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধের। এই রকেট, ক্ষেপণাস্ত্রের লড়াইয়ে প্রাণহানির সংখ্যাও ৫০০০-এর কোটা পার করে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে ইতি পড়ার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
এর মাঝেই আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়াল ইজরায়েল। গাজার বুকে এবার আয়রন স্টিং মর্টার বম্ব ফাটাল তারা। ১২০ মিলিমিটারের মর্টার বোমা ছোড়ার কথা নিজেই জানিয়েছে ইজরায়েল।
জানা গেছে, এটি একটি অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র। আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই যুদ্ধাস্ত্রে লেজার এবং জিপিএস বসানো রয়েছে, যা ১ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত অব্যর্থ হামলা চালাতে পারে। এই অস্ত্রটি তৈরি করেছে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের সংস্থা এলবিত।
২০২১ সালে সেটি সকলের সামনে তুলে ধরে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইজরায়েলের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সমতল হোক বা এবড়ো খেবড়ো ভূমি, গ্রামীণ এলাকা হোক বা শহুরে নির্মাণ, যে কোনও অঞ্চলে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম 'আয়রন স্টিং' মর্টার বোমা।
ইজরায়েলি সেনার যে মাগলান ইউনিট এই অস্ত্রটি ব্যবহার করেছে গাজায়, এখনও পর্যন্ত তারা গাজায় ১০০-র বেশি হামাস সদস্যকে নিকেশ করেছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, গত সপ্তাহ দুয়েকেরও বেশি সময় ধরে গাজা ভূখণ্ডের হাল কার্যত নরকের মতো।
জল-জ্বালানির অভাবে বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। যাঁরা বেঁচে, তাঁদের দুর্দশা কল্পনারও বাইরে। এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত মরফিন তথা ব্যথার ওষুধ না থাকায় এগুলির যথাযথ ডোসেজ ছাড়াই অপারেশন করতে হচ্ছে ডাক্তারদের।
হাসপাতালে হামলার জন্য প্রথমে ইজরায়েলের দিকে আঙুল উঠলেও পরে গাজার অনুসারী সংগঠনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে। দায় কার, সেটা স্পষ্ট নয় এখনও। কিন্তু আর কতদিন চলবে প্রাণ নিয়ে এই মারণ খেলা? উত্তর এখনো মিলছে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন