Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩

অস্ত্র কেনাবেচার হিসেবে ভারত ও ইজরায়েল দুই বন্ধুরাষ্ট্র

 

India-and-Israel-are-friends

সমকালীন প্রতিবেদন : সালটা ১৯৪৮। ভারতের স্বাধীনতা লাভের ঠিক একবছর পর ১৪ ই মে দিনটিতে ইজরায়েল দেশ গঠিত হয়। পরে ১৯৫০ সালে ভারত ইজরায়েলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারত এবং ইজরায়েলের সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় হতে শুরু করে। 

বাণিজ্যিক লেনদেনের পাশাপাশি ভারতকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে ইজরায়েল। ১৯৭১ হোক বা ১৯৯৯, পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনও যুদ্ধে ভারতকে অস্ত্রশস্ত্র জুগিয়েছে ইজরায়েল। সেখান থেকে ‌আসা অস্ত্রের সাহায্যে একাধিক যুদ্ধে জয় পেয়েছেন ভারতীয় জওয়ানেরা। 

জানা যায়, ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সময় ভারতীয় বায়ুসেনার এমন অস্ত্রের প্রয়োজন ছিল, যা দিয়ে উঁচু পাহাড়ের খাঁজে গুহা বা বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকা শত্রুকে খুঁজে খুঁজে মারা যায়। ইজরায়েল থেকে আসা অস্ত্রের সাহায্যেই নাকি তা সম্ভব হয়। তাই এই ঘটনার পর দুই দেশের বন্ধুত্ব বাড়তে থাকে। দুই দেশেই খোলা হয় দূতাবাস। 

বর্তমানে ইজরায়েলের অস্ত্রশস্ত্রের সবচেয়ে বড় খরিদ্দার ভারত। এ দেশে প্রতি বছর যত অস্ত্র আমদানি করা হয়, তার একটা বড় অংশ আসে ইজরায়েল থেকে। তবে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন ইস্যুতে অতীতে বরাবর নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকেছে ভারত। 

কিন্তু এবার এই ইহুদি দেশটির পাশে দাঁড়ালো ভারত। বর্তমানের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইজরায়েলকে সমর্থন করে এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, কঠিন সময়ে ভারত ইজরায়েলের পাশে আছে।

কিন্তু সরাসরি সমর্থন কেন করছে না ভারত? তার পিছনেও রয়েছে একাধিক কারণ। প্রথমত, ইজরায়েলকে সরাসরি সাহায্য করলে ভারতের সঙ্গে পশ্চিম এশিয়ায় আরবীয় মালভূমির অন্য দেশগুলির সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। 

যদিও বর্তমানে ওই এলাকার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। এমনকি অপরিশোধিত তেল কেনার জন্য ওই দেশগুলির উপর নির্ভরশীল ভারত। তাই ইজরায়েলকে সমর্থন করলে আরবীয় দেশগুলির কাছে রাগের কারণ হতে হবে ভারতকে। 

এই ভেবেই সরাসরি সেভাবে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ায়নি নয়াদিল্লি। এই বিতর্কে তাদের অবস্থান বরাবর ছিল নিরপেক্ষ। কিন্তু তা হলেও আতঙ্কের সঙ্গে 'নো টলারেন্স' নীতি দেখিয়েছে ভারত। 






‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন