সমকালীন প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার ইজরায়েল বনাম প্যালেস্তাইন যুদ্ধ ২০ দিনে পা রেখেছে। ইজরায়েলি আক্রমণে সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৯১ জন প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে বলে খবর। আহতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৯৭।
কিন্তু এখানেই থামতে রাজি নয় ইজরায়েল। আর কোনও ছাড় নয়, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে গাজায় সামরিক অভিযান চালাতে প্রস্তুত ইজরায়েল। বুধবার এই ঘোষণা করলেন খোদ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। যদিও কীভাবে গাজায় অভ্যুত্থান চালানো হবে, সে বিষয়ে খোলসা করে তিনি কিছু বলেননি।
এক টেলিভিশন বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, 'আমরা স্থলপথে গাজায় ঢুকে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রস্তুতি নিচ্ছি। কখন, কীভাবে বা কতজন অভিযান চালাবে, সে বিষয়ে আমি কিছু বলব না। আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যার সম্পর্কে জনগণ জানেন না। এবং এটা এমনই থাকা উচিত। ইজরায়েল হাজার হাজার জঙ্গিকে নিকেশ করেছে। হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের এই সবে শুরু।'
অন্যদিকে, যুদ্ধ নিয়ে সুর বদলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন প্রশাসনের তরফে যুদ্ধে সাময়িক বিরতির আর্জি জানিয়েছে। গাজায় যাতে আরও ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো যায়, তার জন্য দুই পক্ষই যেন যুদ্ধে সাময়িক বিরতি ঘোষণা করে, তার আবেদন জানানো হয়।
তবে যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশেই রয়েছে আমেরিকা, তা সাফ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইজরায়েলের নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাসও দেন তিনি। এদিকে, সেই আবহে রাষ্ট্রপুঞ্জে জরুরি বৈঠক চলছিল মঙ্গলবার। সেখানে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান।
মঙ্গলবার গুতারেস বলেন, 'গাজায় প্রকাশ্যে যেভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে, তাতে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন আমি। একটা কথা পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিই, সশস্ত্র সংঘাতের ক্ষেত্রেও কোনও পক্ষ আন্তর্জাতিক মানবিকতা আইনের ঊর্ধ্বে নয়।'
পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক মহলেও এই মুহূর্তে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ছে ইজরায়েল। তা সত্ত্বেও সুর নরম করতে নারাজ ইজরায়েল। বরং গাজাকে আক্রমণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। কিন্তু এখন ইজরায়েল গাজাকে আক্রমণ করলে বিশ্ব অর্থনীতিতে সঙ্কট নেমে আসবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন