সমকালীন প্রতিবেদন : পাসপোর্টে ভারতে আসার পথে পেট্রাপোল সীমান্তে আলাদা আলাদাভাবে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ল ৪ সোনা পাচারকারী। তাদের কাছ থেকে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের সোনা উদ্ধার হল। পাচারকারীরা নিজেদের মলদ্বারের ভেতরে করে এই সোনা পাচারের চেষ্টা করছিল।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, বেলাল হোসেন, আজম খান এবং মোহাম্মদ কবির নামের ৩ বাংলাদেশি যাত্রী পাসপোর্ট, ভিসা নিয়ে গতকাল পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করছিল। সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফের ১৪৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা তাদের দেহে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাসী চালাতেই আসল সত্য প্রকাশ পায়।
বিএসএফ জওয়ানেরা এরপর ওই তিন ব্যক্তিকে আলাদা জায়গায় নিয়ে গিয়ে তল্লাসী চালালে তাদের মলদ্বার থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমানে সোনার বিস্কুট। এগুলি সেলোটেপ দিয়ে তাদের শরীরের গোপন অংশে লুকিয়ে রাখা ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
বিএসএফ জানিয়েছে, আটক বেলাল হোসেনের কাছ থেকে ৬টি সোনার বিস্কুট, আজম খানের কাছ থেকে ৬টি সোনার বিস্কুট এবং মোহাম্মদ কবিরের কাছ থেকে ১১টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। আটক এই ৩ চোরাকারবারীর বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায়।
অন্য একটি পৃথক ঘটনায়, যাত্রীদের রুটিন তল্লাশি করার সময় বিএসএফ জওয়ানেরা জুবিদা খানম নামে এক যাত্রীর কাছ থেকে ৪টি সোনা ব্রেসলেট এবং ১টি সোনার আংটি উদ্ধার করে। এই গয়নাগুলি নিজের শরীরে ধারণ করে পাচারের চেষ্টা করছিল ওই মহিলা।
কিন্তু গয়নাগুলির আকার অস্বাভাবিক আকার থাকায় সন্দেহ হয় বিএসএফ কর্মীদের। সব মিলিয়ে এদিন মোট ১,৮৬,৭০,৭৪২ টাকা মূল্যের সোনা বাজেয়াপ্ত করে বিএসএফ। পরে সেগুলি শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, এই সোনাগুলি কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল তাদের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন