সমকালীন প্রতিবেদন : ভারতীয় রেল আমাদের দেশের গণপরিবহণ ব্যবস্থায় এক অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রায় প্রতিদিনই দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে পৌঁছে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। যাত্রী পরিবহন থেকে শুরু করে দৈর্ঘতার নিরিখে ভারতীয় রেল বিশ্বে চতুর্থ স্থান দখল করে আছে। সুদূর জম্মু থেকে কন্যাকুমারী, অসম থেকে রাজস্থান- সর্বত্র বিছিয়ে রয়েছে রেলের যোগাযোগ।
ভারতীয় রেলে অনেক ধরণের ট্রেন চলে। সাধারণ পরিবহনের জন্য যেমন রয়েছে লোকাল বা এক্সপ্রেস ট্রেন, তেমনই আবার ভারতীয় রেল এমন কিছু ট্রেন চালায়, যা বিলাসবহুল হয় এবং সেগুলি একটি বিশেষ রুটেই চলে। তবে মূলত এক্সপ্রেস বা সুপারফাস্ট ট্রেনকেই দূরের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বেছে নেন অনেকেই।
আর এই ধরণের ট্রেনে থাকে স্লিপার কোচ থেকে এসি কোচ। কিন্তু লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সেকেন্ড ক্লাস কামরাই থাকে। তবে এই বিষয়টিকে বদলে ফেলতে উদ্যোগী হচ্ছে রেল। পূর্ব রেল সূত্রে জানা গেছে, এবার লোকাল ট্রেনের সঙ্গেও জুড়ে দেওয়া হবে রেলের প্রথম শ্রেণীর কামরা।
অর্থাৎ এবার থেকে ফার্স্ট ক্লাস কম্পার্টমেন্টের সব সুবিধা মিলবে লোকাল ট্রেনেই। মুম্বইয়ের শহরতলির ট্রেনের ধাঁচে এ বার পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশন লোকাল ট্রেনে প্রথম শ্রেণির কামরা চালু করার পরিকল্পনা করছে। তার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে মহিলা যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট মাতৃভূমি লোকালে ওই ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে বলে রেল সূত্রের খবর।
পুজোর আগেই একটি মাতৃভূমি লোকালের দু’টি কামরাকে প্রথম শ্রেণির কামরায় উন্নীত করে ওই পরিষেবা শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন শিয়ালদার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার দীপক নিগম। অর্থাৎ, দুর্গাপুজোর আগেই শিয়ালদা ডিভিশনের একটি মাতৃভূমি লোকাল ট্রেনে দুটি প্রথম শ্রেণীর কামরা জুড়ে দেওয়া হবে।
রেল সূত্রে খবর, এই সূচনায় সাফল্য মিললে ধীরে ধীরে অন্য রুটগুলিতেও এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। রেল সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, প্রথম শ্রেণির কামরায় সাধারণ আসনের পরিবর্তে গদিযুক্ত নরম আসন থাকবে। এছাড়া, কামরার অন্যান্য ব্যবস্থা আরও উন্নত করার চেষ্টা চলছে।
বর্তমানে পূর্ব রেলে ছ’জোড়া মাতৃভূমি লোকাল চলে। তার মধ্যে শিয়ালদা-রানাঘাট রুটটি বেছে নেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ের পর এবার আমাদের রাজ্যেও এই ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। ভবিষ্যতে হয়তো এসি লোকালও চলবে বিভিন্ন রুটে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন