সমকালীন প্রতিবেদন : চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্য যেন ভারতের আগামীর সব মিশনে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে। এই সাফল্য আমাদের ভাবতে শিখিয়েছে নতুন করে। মজবুত হয়েছে আত্মবিশ্বাসের খুঁটি। 'ভারত আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন' পেয়েছে।
চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যের হাত ধরেই এবার একাধিক মিশনের দিকে পা বাড়াচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। আর তার মধ্যে অন্যতম এবং সবথেকে বড় মিশন হল গগনযান। অর্থাৎ, এবার মহাকাশে অভিযান চালাবে ভারত। গগনযান মিশনে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চায় ভারত।
এই আবহে বহুদিন ধরেই কাজ করে চলেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। প্রশিক্ষণ চলছে মহাকাশচারীদেরও। এই আবহে আর কয়েকদিনেই এই মিশন নিয়ে একটি বড় পরীক্ষা চালাবে ইসরো। জানা গেছে, আগামী ২৫ অক্টোবর এই মিশনকে লক্ষ্য করে এক বড়সড় পরীক্ষা চালানো হবে ইসরোর তরফে।
ওইদিন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিমি উচ্চতায় একটি মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে ইসরো। সেই যানে থাকবেন তিন মহাকাশচারী। তিনদিন পর সেটি ভারত মহাসাগরে ফিরে আসবে। গগনযান মিশনে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর জন্য প্রস্তুতিস্বরূপ এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হবে।
গগনযান মিশনেও মহাকাশচারীরা যাতে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই চালানো হবে এই পরীক্ষা। উল্লেখ্য, এই গগনযান অভিযানের জন্য ইসরো ইতিমধ্যেই চার মহাকাশচারীকে বেছে নিয়েছে। বর্তমানে মিশনের জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাঁরা।
ভারতীয় বায়ুসেনার অধীনস্থ ইনস্টিটিউট অফ অ্যারোস্পেস মেডিসিন মহাকাশচারীদের নির্বাচন করেছে। ভারতীয় বায়ুসেনার ৬০ জন টেস্ট পাইলটদের মধ্যে থেকে গগনযান মিশনের জন্য চার মহাকাশচারীকে বেছে নেওয়া হয়। ১২ জন এই পরীক্ষায় লেভেল ১ পার করেছিলেন।
তারপর থেকে তাঁদের প্রশিক্ষণ চলছে রাশিয়ার গ্যাগারিন রিসার্চ অ্যান্ড টেস্ট কসমোনট ট্রেনিং সেন্টারে। আর এবার তাদেরকে ঘিরে এক নতুন আশা জাগছে দেড়শো কোটির ভারতীয়র মনে। হয়তো এবারেও আসবে চূড়ান্ত সাফল্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন