Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩

ফের ভূমিকম্প, কয়েক সেকেন্ডেই ধুলোয় মিশে গেল গ্রামের পর গ্রাম

 

Earthquake-again

সমকালীন প্রতিবেদন : সদ্য এক ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেছে আফগানিস্তান। গত শনিবার দুপুরে আচমকা কেঁপে ওঠে মাটি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আফগানিস্তানের হেরাট এবং সংলগ্ন এলাকা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।  মুহূর্তের তীব্র কম্পনে পর পর ঘরবাড়ি সব ভেঙে পড়ে তাসের ঘরের মতো। প্রাণহানি হয় কয়েক হাজার মানুষের। 

তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার এক বিপর্যয় ঘটল সেই দেশে। শনিবারের পর বুধবারও ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিও সায়েন্স জানিয়েছে, বুধবার আফগানিস্তানে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩। 

ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে অনুভূত হয়েছে কম্পন। তবে এবার কম্পন অনুভূত হয়েছে সেদেশের উত্তর পশ্চিম প্রান্তে। এদিনের এই বিপর্যয়ে অবশ্য প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। তবে শনিবার হেরাটে যে কম্পন অনুভূত হয়, তার জেরে ধূলিস্যাৎ হয়েছে বহু ঘর বাড়ি। তাই সেই ঘটনার জেরে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। 

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, আফগানিস্তানের ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ হাজার। তালিবান মন্ত্রকের তথ্য পেশ করে এই খবর জানিয়েছে খামা প্রেস। পরিসংখ্যান বলছে, ভূকম্পে ভেঙে পড়েছে সেদেশের অন্তত ২,০০০ বাড়ি। 

এই নিয়ে গত পাঁচদিনে চারবার ভূমিকম্প হল আফগানিস্তানে। আফগানিস্তান জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, একের পর এক কম্পনে ২০টা গ্রাম তছনছ হয়ে গেছে। ধূলিসাৎ হয়ে গেছে হাজার দুয়েক বাড়ি। 

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ হাসান আখুন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন। ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজের জন্য আফগান রেড ক্রিসেন্টকে দু’লক্ষ মার্কিন ডলার সাহায্য করেছে চিন। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় এক কোটি ৬৬ লক্ষ টাকারও বেশি। 

একের পর এক এইসব বিপর্যয়কে কি প্রকৃতির প্রতিশোধ বলা যায়না? এই প্রশ্নটা আজ নিজেদেরকেই করতে হবে। তাহলেই হয়তো এইসব ঘটনার সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে। বিজ্ঞানীরা অবশ্য অনেক আগে থেকেই বলে এসেছেন, প্রকৃতিকে উত্ত্যক্ত করতে নেই, করলে প্রকৃতি বিরূপ হবে, হয়তো প্রতিশোধ নেবে। 

বিবর্তনবাদের বৈজ্ঞানিক প্রবক্তা ডারউইনও ওই সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন; কিন্তু মানুষ সেসব কথা শোনেনি। একদিকে প্রকৃতির বন্দনাগান করা হয়েছে, তাকে নিয়ে শিল্প-সাহিত্য তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে, প্রকৃতিকে পরিণত করা হয়েছে পণ্যে। এর যা কিছু আছে, সব কিছুই লুণ্ঠন করা হয়েছে। 

মানুষও আসলে প্রকৃতিরই অংশ। কিন্তু যতই সে উন্নত হয়েছে, ততই বিচ্ছিন্ন হয়েছে প্রকৃতি থেকে। ফলে, একদিকে সে যেমন শিকার হয়েছে প্রকৃতির রুদ্ররোষের, অন্যদিকে নিজেও ভীষণ কৃত্রিম হয়ে পড়েছে। তার স্বভাবে দেখা দিয়েছে নিষ্ঠুরতা ও আত্মকেন্দ্রিকতা।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন