সমকালীন প্রতিবেদন : ডেঙ্গু নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হল বনগাঁয়। সাম্প্রতিককালে বনগাঁ মহকুমায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। তাই এব্যাপারে এদিন জরুরী বৈঠকে বসেন প্রশাসনিক কর্তারা।
গত কয়েক বছর ধরে বর্ষার সময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গুর উপদ্রব হয়ে আসছে। বনগাঁও তার থেকে বাদ যায় নি। এবছরও এই মহকুমায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
বনগাঁ মহকুমার মধ্যে বনগাঁ ব্লকের আকাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি। প্রাথমিকভাবে এব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উদ্যোগ কম থাকলেও পরিস্থিতির কারণে পরবর্তীতে এব্যাপারে উদ্যোগী হয় পঞ্চায়েত এবং প্রশাসন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে বেশকিছু ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়। তারইমধ্যে গতকাল ফের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আর এরপরই রবিবার বনগাঁয় আসেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের স্পেশাল জয়েন্ট সেক্রেটারি কৌশিক ভট্টাচার্য।
এদিন তিনি বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। পরে বনগাঁ মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সমুদ্র সেনগুপ্ত, মহকুমা শাসক প্রেমবিভাস কাঁসারি, হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বাড়ুই, পুরপ্রধান গোপাল শেঠ সহ অন্যান্যরা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য তিনি এসেছেন। ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রশাসনের পাশাপাশি এলাকার মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। হাসপাতালের পরিসেবা যাতে আরও উন্নত করা যায় সে বিষয়ে ভাবনা রয়েছে। পুর এলাকার থেকে গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন