সমকালীন প্রতিবেদন : ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে টাকা খুইয়েছিলেন এক বৃদ্ধ। অবশেষে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশের উদ্যোগে সেই টাকা ফেরত পেলেন তিনি। বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশের এই ভূমিকায় খুশি ওই বৃদ্ধ।
পুলিস সূত্রে জানা গেছে, ১৪ আগস্ট বারাসত এলাকার বাসিন্দা দীপক সরকার নামে এক ব্যক্তি বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ করে জানান যে, বারাসতের নপাড়া এলাকায় একটি পুরনো ফ্ল্যাট কেনার ব্যাপারে তিনি করিশ্মা পাল নামে এক মহিলার সঙ্গে চুক্তিবন্ধ হন।
চুক্তি অনুযায়ী অগ্রিম হিসেবে ৪ দফায় দেড় লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পেমেন্ট করেন দীপকবাবু। যদিও বিক্রেতা করিশ্মার কথা অনুসারে এবং তার কথায় বিশ্বাস করে অন্য এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে এই টাকা পাঠানো হয়।
এই ঘটনার পর থেকে করিশ্মা দীপকবাবুকে ফ্ল্যাট হস্তান্তর না করে নানাভাবে ঘোরাতে থাকে। একসময় দীপকবাবু বুঝতে পারেন যে, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার দারস্থ হন।
পুলিশ তদন্তে নেমে করিশ্মা পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে টাকা ফের দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতির চাপে পড়ে অবশেষে টাকা ফেরত দিতে রাজী হয় অভিযুক্ত। এরপর আজ সেই টাকা ফেরত পেলেন দীপক সরকার।
বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার আইসি সুদীপ্ত দে এব্যাপারে জানান, নিজের পৈত্রিক জমি বিক্রি করে মেয়ে–জামাইয়ের জন্য পুরনো ফ্ল্যাট কেনার পরিকল্পনা করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন দীপক সরকার। অবশেষে তাঁর টাকা ফিরে পাওয়ার ব্যবস্থা হল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন