Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩

বঙ্গোপসাগর থেকে প্রবল শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'হামুন'

 

Cyclone-Hamun

সমকালীন প্রতিবেদন : বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ অতি তীব্র আকার ধারণ করেছে গতকালই। ঘন্টায় ঘন্টায় সাগরের বুকেই শক্তি বাড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। 

এরপর গতিপথ পরিবর্তন করে উত্তর-পশ্চিম দিক ছেড়ে এটি বাঁক নিয়ে উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে অর্থাৎ বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছে। দশমীর দিন এটি আরও শক্তিশালী হয়ে সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্মে পরিণত হয়েছে। 

তবে আজ, বুধবার  এটি বাংলাদেশ স্থলভাগে প্রবেশ করবে অতি গভীর নিম্নচাপ রূপে। স্থলভাগে ঢোকার আগে এটি শক্তি হারাবে। খেপুপাড়া থেকে চট্টগ্রামের মাঝখান দিয়ে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা ৷

তাই এখন পুজোর শেষে তৈরি হচ্ছে দুর্যোগের আশঙ্কা। ইতিমধ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। কারণ পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দখিনা বাতাসে ভর করে জলীয় বাষ্প ঢুকবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। 

সেই কারণেই আজ থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে উপকূলের জেলাগুলিতে। পাশাপাশি আজ সমুদ্র উত্তাল হবে এবং উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলেও সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস। এদিকে রাজ্যের আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী বাংলার উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে। 

তবে তার অভিমুখ বাংলাদেশের দিকে থাকায় দক্ষিণবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আর নেই, এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর ছাড়াও দক্ষিণের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম-সহ রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবারও দুই পরগনার কয়েকটি এলাকায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস। রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তাই এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে তেমন উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বললেই চলে। 





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন