সমকালীন প্রতিবেদন : সাতসকালে বড়সড় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি হোটেল। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আশপাশের আরও ৪ টি দোকান। দমকলের দুটি ইঞ্জিনের প্রচেষ্টায় বেশ কিছুক্ষণ পর আগুন আয়ত্বে আসে।
হোটেলে তখন লোক না থাকায় হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটে নি। মঙ্গলবার সকালে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলো উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া বাজারে।
জানা গেছে, চাঁদপাড়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে যশোর রোডের ধারে একটি ছোট ভাতের হোটেল চালান রিপন সাহা নামে এলাকার এক বাসিন্দা। পাশে আরও একটি হোটেল সহ অন্যান্য দোকান রয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো গতকালও রাত ১১ টা পর্যন্ত দোকানদারি করে বাড়ি ফিরে যান তাঁরা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬ টা নাগাদ পূর্ণিমা হিন্দু হোটেল নামের ওই হোটেলের কর্মচারীরা দোকানে এসে যে যার মতো কাজ শুরু করেন। সাড়ে ৭ টা নাগাদ হঠাৎ করে ওই হোটেলে আগুন লেগে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই হোটেলের রান্নাঘরে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার বিকট শব্দে ফেঁটে যায়। আর তারপর আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
যেহেতু ওই হোটেলের লাগোয়া আরও হোটেল এবং অন্যান্য দোকান রয়েছে, তাই আগুনের লেলিহান শিখা সেই দোকানগুলিরও অল্পবিস্তর ক্ষতি করেছে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে হোটেলের কর্মীরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। আর সেইসময় যেহেতু হোটেলে কোনও খরিদ্দার ছিলেন না, তাই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে নি।
আগুন লাগার খবর পেয়ে বনগাঁ থেকে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন আয়ত্বে আনে। দমকল বাহিনী এসে পৌঁছানোর আগে স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে হাত লাগান। যদিও শেষপর্যন্ত সবচেষ্টাই ব্যর্থ হয়। রিপন সাহার হোটেলটি আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গাইঘাটা ব্লকের চাঁদপাড়া, ঠাকুরনগর এলাকায় এখন বড় বড় বাজার রয়েছে। জনবহুল এইসব এলাকার জন্য অবশ্য এই ব্লকে এখনও দমকলের কোনও দপ্তর নেই।
এইসব এলাকায় আগুন লাগার কোনও ঘটনা ঘটলে বনগাঁ অথবা হাবড়া থেকে দমকল বাহিনীকে ছুটে আসতে হয়। স্থানীয় মানুষ এবং জনপ্রতিনিধিদের দাবি, এই ব্লকে দমকলের একটি অফিস চালু করা হোক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন