সমকালীন প্রতিবেদন : হাতে আর মাত্র একসপ্তাহ। তারপরেই কাশবনে হিমেল বাতাসের দোলায় ভর করে উমা আসবে বাঙালির ঘরে ঘরে। তাই এই মুহূর্তে পুজোর প্রস্তুতি এক্কেবারে চরম পর্যায়ে। পুজোয় মণ্ডপ ঘিরে দেখা সহজ হলেও সুযোগ মেলে না কয়েক শ’বছর পুরনো বনেদি বাড়ির পুজো দেখার।
তবু অনেকেরই এইসব পুজো দেখার ইচ্ছেটা থেকেই যায়। তবে এবার সেই ইচ্ছে পূরণ করতে এগিয়ে এসেছে রাজ্য পর্যটন দফতর। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম বিশেষ ট্যুর প্যাকেজের ব্যবস্থা করেছে, যেখানে ঘুরিয়ে দেখানো হবে শহরের নামজাদা বনেদি বাড়ির পুজোগুলি।
জানা গেছে, পর্যটন দফতরের অধীনে এই ‘সনাতনী’ প্যাকেজের অধীনে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী—এই তিনদিন দর্শনার্থীরা সুযোগ পাবেন বনেদি বাড়ির পুজো ঘুরে দেখার। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে এই পুজো পরিক্রমা। শেষ হবে দুপুর সাড়ে বারোটায়।
রবীন্দ্র সদন থেকে যাত্রীদের রিসিভ করা হবে দর্শনার্থীদের। শহরের বনেদি বাড়িগুলোর পুজো দেখানোর পর আবার ট্যুর শেষ হবে রবীন্দ্র সদনেই। জানা গেছে, এই প্যাকেজে ঘুরিয়ে দেখানো হবে শোভাবাজার রাজবাড়ি, ছোটুবাবু লাটুবাবুর বাড়ি, চন্দ্র বাড়ি, রানি রাসমণির বাড়ি, ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ি, জোড়াসাঁকো দাঁ বাড়ি ইত্যাদি।
শহরের নামজাদা বাড়ির পুজো ঘুরিয়ে দেখানো ছাড়াও এলাহি ব্যবস্থা থাকছে ‘সনাতনী’ প্যাকেজে। ‘সনাতনী’ প্যাকেজ বুক করলে এসি বাসে করে এসব পুজো ঘুরিয়ে দেখানো হবে। যেহেতু সকালবেলাই শুরু হচ্ছে পুজো পরিক্রমা, তাই দর্শনার্থীদের জন্য ব্রেকফাস্টের সুবিধাও রয়েছে।
এমনকী দুপুরবেলা শোভাবাজার রাজবাড়িতে ভোগ খাওয়ানোর বন্দোবস্ত রয়েছে। ‘সনাতনী’ প্যাকেজ বুক করলে দর্শনার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার সম্পূর্ণ খেয়াল রাখছে রাজ্য পর্যটন দফতর। কিন্তু কিভাবে বুকিং করা যাবে এই প্যাকেজ? কত টাকাই বা খরচ হবে এতে?
জানা গেছে, এই সনাতনী’ প্যাকেজের খরচ মাথাপিছু মাত্র ১,৯৯৯ টাকা। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি এই ‘সনাতনী’ প্যাকেজ বুক করতে পারবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন