সমকালীন প্রতিবেদন : ৭ বছর হল ভারতের বুকে অতীত হয়ে গিয়েছে ১০০০ টাকার নোট। লাল ও সাদা রংয়ের সেই নোট স্মৃতি হিসেবে অনেকেই রেখে দিয়েছেন। তবে বাজারে সেই নোট এখন মূল্যহীন। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর গোটা দেশে নোটবন্দি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তারপর ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক ১০০০ এবং ৫০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেয়। এরপর ১০ নভেম্বর ২০১৬ থেকে নতুন ২০০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে সেই নোটও এখন বাতিল। তাই এখন বাজারের সবথেকে বড় নোট হল ৫০০ টাকার নোট।
তবে কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে ব্যাপকভাবে। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমের দেওয়ালে শেয়ার করেছেন এই খবর। এই খবরে বলা হচ্ছে যে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নাকি আবার ১ হাজার টাকার নোট বাজারে ফিরিয়ে আনতে চলেছে।
ওই খবরে দাবি করা হয়েছে যে, এই বিষয়ে শীঘ্রই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বড় কোনো ঘোষণা করতে পারে। কিন্তু আগের মতোই কি হবে এই নতুন ১ হাজার টাকার নোট? নাকি নতুন রূপে এই নোটকে বাজারে আনবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক? এই বিষয়ে এবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
সম্প্রতি, এই বিষয়ে একটি ঘোষণা করে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে, বাজারে এক হাজার টাকার নোট ফিরিয়ে আনার মতো কোনো পরিকল্পনা নাকি এই মুহূর্তে নেই।
এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভারতের এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে, দেশের বর্তমান সময়ে অর্থনীতিতে নগদের প্রয়োজন মেটাতে ৫০০ টাকার নোট উপলব্ধ রয়েছে বাজারে।
অন্যদিকে, দেশে এখন ডিজিটাল লেনদেনের প্রতি ঝোঁকও দ্রুত বাড়ছে দেশবাসীর মধ্যে। তাই নগদ অর্থের প্রয়োজন কম হবে এবং সেই কারণেই এর থেকে বড় মুদ্রা বাজারে আনতে নারাজ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাবি, বর্তমানে সিস্টেমে যতটা নগদ প্রবাহ প্রয়োজন ততটা আছে।
তাই এই মুহূর্তে নতুনভাবে বাজারে নগদ টাকার পরিমাণ বাড়ানো দেশের অর্থনীতির পক্ষে ঠিক হবেনা। তাই এমন কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের হাতে।
এর পাশাপাশি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশের জনগণকে কোনও ধরনের গুজবের শিকার না হতে পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়াও দেশবাসীকে টাকা সম্পর্কে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন