সমকালীন প্রতিবেদন : চাঁদে জল রয়েছে, এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বিভিন্ন দেশের চন্দ্র অভিযান। ২০০৮ সালে ভারতের চন্দ্রযান মিশন প্রথম জানায় চাঁদে জলের উপস্থিতির কথা। এই নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছিল, কিন্তু চাঁদে জল কোথা থেকে এসেছে, তা জানা যায়নি৷
অর্থাৎ জলের উৎস কী, তা জানা যায়নি। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় এর উত্তর পাওয়া গেছে। জানা যাচ্ছে, চাঁদে যে জল রয়েছে তা এসেছে পৃথিবী থেকেই। শুধু তাই নয়, এই গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, পৃথিবী থেকে চাঁদে এখনও জল যাচ্ছে!
উল্লেখ্য, প্রথম ভারতীয় চাঁদমিশন চন্দ্রযান-১ চাঁদে জলের অণু আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এটি ২০০৮ সালে চালু হয়েছিল। এর তথ্য থেকে বিজ্ঞানীদের দলটি ভূপৃষ্ঠের আবহাওয়ার পরিবর্তনগুলি বিশ্লেষণ করেছে, যখন চাঁদ পৃথিবীর ম্যাগনেটোটেলের মধ্য দিয়ে যায়।
ম্যাগনেটোটেল এমন একটি অঞ্চল যা প্রায় সম্পূর্ণরূপে চাঁদকে সৌর বায়ু থেকে রক্ষা করে, কিন্তু সূর্যালোকের ফোটনগুলিকে আটকায় না। চাঁদের পৃষ্ঠ জলের গঠন প্রক্রিয়া অধ্যয়ন করার জন্য একটি প্রাকৃতিক পরীক্ষাগার সরবরাহ করে।
এই গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাটি ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ভারতের চন্দ্রযান ১ মিশনে একটি ইমেজিং স্পেকট্রোমিটার, মুন মিনারলজি ম্যাপার যন্ত্র দ্বারা সংগৃহীত দূরবর্তী সংবেদনশীল ডেটা পরীক্ষা করে।
এবার সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের একটি দল ভারতের চন্দ্রমিশন চন্দ্রযান-১ থেকে রিমোট সেন্সিং ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে, পৃথিবী থেকে উচ্চশক্তির ইলেকট্রন চাঁদে জল তৈরি করতে পারে।
এই গবেষণার ফলাফল নেচার অ্যাস্ট্রোনমি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেছেন যে, পৃথিবীর প্লাজমা শীটে উপস্থিত ইলেকট্রনগুলি চাঁদের পৃষ্ঠে অনেক আবহাওয়া প্রক্রিয়ায় অবদান রাখছে, যেমন শিলা এবং খনিজগুলির ভাঙন বা দ্রবীভূত হওয়া।
গবেষণায় বলা হয়েছে যে, এই ইলেকট্রনগুলি চাঁদে জল প্রস্তুত করতে সাহায্য করেছিল। এখন প্রোটনের মতো উচ্চ শক্তির কণা দিয়ে তৈরি সৌরবায়ু চাঁদের পৃষ্ঠে জল তৈরি করছে। এটি চাঁদে জল গঠনের প্রাথমিক উপায়গুলির মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। তাই এর ফলে চাঁদকে ঘিরে যে বাড়ছে অনেকরকম সম্ভাবনা, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন