সমকালীন প্রতিবেদন : গত ২১ সেপ্টেম্বরে রাত শেষ হয়ে চাঁদের মাটিতে শুরু হয়েছে দিন। এই সময়ই চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল ইসরোর। সেদিকেই চোখ ছিল দেশবাসীর। কিন্তু এখনও জাগানো যায়নি বিক্রম-প্রজ্ঞানকে। এই পরিস্থিতিতেও আশা ছাড়ছেন না বিজ্ঞানীরা।
ইসরোর তরফে জানানো হল, আরও ১৪ দিন অপেক্ষা করবে তারা। নিজেদের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ইসরো জানায় যে, চন্দ্রযান-৩ অভিযান: বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভার জেগে রয়েছে কি না, তা বোঝার জন্য যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও রকম সিগন্যাল পাওয়া যায়নি। যদিও যোগাযোগ স্থাপনের এই প্রয়াস চালিয়ে যাওয়া হবে।
গত ২ সেপ্টেম্বর ইসরো-র তরফে জানানো হয়েছিল যে, চন্দ্রযান ৩ এর প্রজ্ঞান রোভার চাঁদের মাটিতে নিজের কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। আর এখন সেটা নিরাপদভাবে পার্ক করে স্লিপ মোডে রাখা হয়েছে। এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শিবশক্তি পয়েন্টে সূর্যাস্ত হয়ে গিয়েছে। যার ফলে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান সম্পূর্ণরূপে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে।
এর মাঝে ইসরো-র স্পেস অ্যাপ্লিকেশনস সেন্টারের ডিরেক্টর নীলেশ দেশাই সংবাদমাধ্যমের কাছে আগে জানিয়েছিলেন, 'আমরা ল্যান্ডার এবং রোভার উভয়কেই স্লিপ মোডে রেখেছি। কারণ, তাপমাত্রা মাইনাস ১২০-২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতে পারে। তবে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে চন্দ্রে সূর্যোদয় হবে এবং আমাদের আশা, ২২ সেপ্টেম্বর নাগাদ সোলার প্যানেল এবং অন্যান্য জিনিস পুরোপুরি চার্জড হয়ে যাবে। তাই ল্যান্ডার এবং রোভার উভয়কেই পুনরায় জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করতে থাকব।'
কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে চাঁদে প্রবল ঠান্ডা আবহাওয়ার অবস্থা চলছে। তাপমাত্রা মাইনাস ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চলে গিয়েছে। আর এখনও পর্যন্ত ল্যান্ডার এবং রোভার থেকে কোনও সিগন্যাল না পাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে এটাই। তাই আপাতত তাদের জেগে ওঠার আশা তেমন একটা দেখছেন না বিজ্ঞানীরা। তবে কোনও মিরাকল ঘটলে অবশ্যই হতে পারে কিছু অসাধ্যসাধন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন