সমকালীন প্রতিবেদন : ডিজিটালাইজেশনের যুগে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা। প্রতারকরা বিভিন্নভাবে মানুষকে নিশানা করছে। সাইবার অপরাধ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন 'চেক পয়েন্ট রিসার্চ' বলছে, ভারতে সাপ্তাহিক সাইবার অপরাধ গত বছরের তুলনায় এই বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের তুলনায় যা অনেকটাই বেশি।
বহু সংস্থার তরফে সাইবার হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্ক্যামাররা নাগরিকদের টার্গেট করছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর সাপ্তাহিক সাইবার অপরাধ ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের হিসেব বলছে, চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে সর্বাধিক সংখ্যক সাইবার হামলা দেখা গেছে।
এই সাইবার ক্রাইমের সবথেকে বড় ফাঁদ হল ওটিপি। কারণ, কখনও ফোন করে চাওয়া হচ্ছে ওটিপি বা কখনও ইউপিআই-এর পাসওয়ার্ড জানতে পাতা হচ্ছে ফাঁদ। ফলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই খোয়া যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এব্যপারে অনেকদিন ধরেই সচেতন করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
ফলে অনেকেই এব্যাপারে সচেতন হয়েছেন। আর তাই এবার অপরাধের ধরণ বদলে ফেলেছে সাইবার অপরাধীরা। এখন ওটিপি জানার জন্য নয়, ফোন করে নাম, ঠিকানার জানার মতো সাধারণ কথাবার্তার মধ্যেই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব করে নিচ্ছে টাকা। তাই কোনও অচেনা নম্বর থেকে আসা ফোন রিসিভ করার আগে সাবধান।
কিন্তু কিভাবে সাবধান হতে হবে এমন অপরাধ থেকে? এই বিষয়ে সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে অপরাধীরা সম্ভবত বিদেশে বসে এই কাজ করছে। যখন কেউ ফোন রিসিভ করছে, তখন ওপার থেকে নাম ও ঠিকানা জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। ওই কয়েক সেকেন্ড কথোপকথনের মধ্যেই ডি-কোড করা হচ্ছে ফোনের সেটিংস। এরপরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে টাকা।
পুরো কাজটাই করা হচ্ছে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ভারতীয় ফোন নম্বর ছাড়া অন্য কোনও নম্বরের ফোন রিসিভ না করাই ভাল। ভারতীয় নম্বরের আগে থাকে +91 এই দুই সংখ্যা। সেটা না থাকলে কোনও অচেনা নম্বরের ফোন না তোলার পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এইভাবে নিজেও সুরক্ষিত থাকুন, অন্যকেও সুরক্ষিত রাখুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন