সমকালীন প্রতিবেদন : বাঙালির উৎসবে ঝড়বৃষ্টির দাপাদাপি শুরু হয়েছে বিগত কয়েকবছর ধরেই। এই বছরের শুরু থেকেও কিন্তু তেমন ইঙ্গিত মিলছে মেঘের ঘনঘটা দেখে। ইতিমধ্যে বৃষ্টিতে ভেসেছে গণেশ চতুর্থী এবং বিশ্বকর্মা পুজো।
সামনেই মহালয়া, আর তারপর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। কিন্তু, উৎসবের আগেই দুঃসংবাদ শোনালেন আবহাওয়াবিদরা। অক্টোবরের শুরুতেই আছড়ে পড়তে পারে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। পণ্ড করতে পারে পুজোর সমস্ত পরিকল্পনা।
আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব চালাতে পারে একাধিক রাজ্যে। ফলে উৎসবের মরশুমে ভারী দুর্যোগ চলতে পারে দেশজুড়ে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৯ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত দানা বাঁধতে চলেছে।
এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে কিছু দিনের মধ্যেই নিম্নচাপ তৈরি হয়ে যাবে। সাগরে সেই নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। তবে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় আদৌ তৈরি হবে কি না, এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না হাওয়া অফিস। তার জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে তার কী প্রভাব পড়বে, কোন অভিমুখে তা এগোবে, এখনও কিছুই স্পষ্ট নয়। সাগরে এই ঘূর্ণাবর্তের অনুকূল পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে হাওয়া অফিস।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই সাইক্লোনটি আছড়ে পড়লে সেটির নাম হবে তেজ। ভারতের তরফে এই নামটি দেওয়া হয়েছে। উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ, দক্ষিণ ওডিশায় এই সাইক্লোনের সমচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালানোর সম্ভাবনা।
ঘূর্ণিঝড় প্রভাব ফেলতে পারে বিহার, পশ্চিমবঙ্গেও। ফলে অক্টোবরের শুরু থেকেই পুজোর মরশুমে এই ঘূর্ণিঝড় সমস্ত প্ল্যান ভেস্তে দিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে, আবহাওয়ার আপডেটের দিকে নজর দিলে দেখা যাচ্ছে মেঘের দাপাদাপি।
এখন ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শরৎ এলেও এবার পুরোদস্তুর প্রভাব দেখাতে চলেছে বর্ষার মেঘ। মৌসম ভবন সূত্রে পূর্বাভাস মিলেছে যে, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে উত্তর আন্দামান সাগরের উপরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে এবং আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আর এই নিম্নচাপের জেরেই ফের পুজোর বাজার মাটি করতে পারে খলনায়ক দুর্যোগ। আর তেমনটা হলে আপনাকেও দুর্গাপুজোয় নতুন জামাকাপড়ের পরিবর্তে কিনে ফেলতে হবে রকমারি সব রেইনকোট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন