সম্পদ দে : হাতে সময় আর মাত্র কয়েকটি দিন। তারপরই শুরু হবে একের পর এক উৎসবের আনাগোনা। আর উৎসব মানেই তো মজা, হইহুল্লোড় আর আনন্দ। তবে আবহাওয়া দপ্তর বলছে অন্য কথা। এই সেপ্টেম্বর হয়তো কাটতে পারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির মাঝে। উৎসবের মেজাজে জল ঢেলে দিতে তৈরি হচ্ছে অসময়ের নিম্নচাপ।
রবিবার বাদ দিলেই সোমবারে পড়ছে বিশ্বকর্মা পূজা, আর তার ঠিক পরের দিনই গণেশ চতুর্থী। তবে আবহাওয়া দপ্তরের কথা মেনে চললে গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চলবে বর্ষার অত্যাচার। একেই আমাদের রাজ্যে বর্ষার মৌসুম ঢুকেছে অনেক দেরি করে। আর তার মাঝেই যখন রাজ্যবাসী সবে ভাবা শুরু করেছেন যে, বর্ষা বোধ হয় এবার শেষ ঠিক। তখনই ছোট্ট বিরতি নিয়ে আবারো ফিরে এসেছে ভারী নিম্নচাপ।
তবে কেবলমাত্র দক্ষিণবঙ্গেই ভারী বৃষ্টি হবে এ কথা ভেবে নিলেই ভুল। বরং গোটা পশ্চিমবঙ্গেই ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এমনকি শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আগামী বেশ কয়েকদিনে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ওড়িশা, ঝাড়খন্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও গুজরাটের মতো বেশ কিছু রাজ্যে আগামী বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি কমার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। পাশাপাশি, ভারতের একদম দক্ষিণে শ্রীলঙ্কাতেও চলছে ভারি নিম্নচাপ। যার কারণে বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় চলতে থাকা এশিয়ান কাপের ক্রিকেট টুর্নামেন্টেও প্রায় দিন বৃষ্টির কারণে খেলা বাতিল করতে হচ্ছে, অথবা সময়ে বদল আনতে হচ্ছে।
আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে ২০ তারিখের পর থেকে নিম্নচাপের তীব্রতা কমতে শুরু করবে বলে আশা।
মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং ওড়িশার বিভিন্ন এলাকায় গত বেশ কয়েকদিন ধরে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় মাত্র কয়েকদিন আগে পর্যন্তও নিম্নচাপ ও জোরালো বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্টি হওয়া বন্যা ও ধ্বসের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপের কারণে রাজ্যে বৃষ্টির প্রভাব আরো জোরালো হবে বলেই খবর। বাড়ি থেকে বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা বা রেইনকোট ব্যবহার করুন। আর আসতে চলা বিশ্বকর্মা পূজা, গণেশ চতুর্থী এবং ঈদের মতো উৎসবগুলিকে এই মুখ ভার করে থাকা আবহাওয়ার মাঝেই সাবধানে ও আনন্দে কাটান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন