সমকালীন প্রতিবেদন : বর্তমানে ঘুমের দেশে চলে গেছে ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান। তবে স্লিপ মোডে যাওয়ার আগে নিজেদের কাজ সারতে ভোলেনি তারা। লাগাতার চমকপ্রদ সব তথ্য পাঠিয়েছে পৃথিবীতে।
আর সেই সব তথ্য একসূত্রে গাঁথলে একটি বার্তা পরিষ্কার হচ্ছে। সেটি হল, যতটা ভাবা গিয়েছিল তার থেকেও বেশি বাসযোগ্য চাঁদ। অর্থাৎ, ভবিষ্যতে চাঁদে গিয়ে ঘর বানাতেও পারবে মানুষ।
কিন্তু চাঁদের মাটিতে কি এমন মিলেছে, যার জন্য চাঁদকে আজ বসবাসযোগ্য মনে হচ্ছে বিজ্ঞানীদের ? এই বিষয়ে জানতে হলে আগে চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে জানা উচিত। সেই কারণেই চাঁদের এই কুমেরুতে অবতরণের কারণ ছিল এই অঞ্চল বাসযোগ্য কি না তা খতিয়ে দেখা। সেখানেই সবুজ সংকেত মিলেছে।
চাঁদে কোনও আবহাওয়ামণ্ডল নেই। তাই সেখানে দিনের বেলায় তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ১২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবার রাতের বেলায় কনকনে ঠান্ডা পড়ে যায়। তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ২৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের দক্ষিণ মেরু পৃষ্ঠের তাপমাত্রা মাপজোপ করে দেখেছে।
সেই পরিমাপেই দেখা গেছে, তাপমাত্রা চাঁদের উপরের ২ সেন্টিমিটার স্তরের নীচ থেকে ৮ সেন্টিমিটার নীচে নামতেই একলাফে কমে গিয়েছে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এই বিষয়টি বসবাসের উপযুক্ত হওয়ার লক্ষণ। অন্যদিকে, চাঁদের মাটিতে অক্সিজেনের সন্ধান পেয়েছে রোভার প্রজ্ঞান।
এই যন্ত্রটি চাঁদের মাটিতে লেজার রশ্মি নিক্ষেপ করেছে এবং প্রতিফলন বিশ্লেষণ করে অক্সিজেনের সন্ধান পেয়েছে। ইলমেনাইট আকারে মাটিতে অক্সিজেনের উপস্থিতির অর্থ অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য বরফের বিকল্প থাকা। এর থেকেই পরিষ্কার, সূদুর ভবিষ্যতে বাসযোগ্য হতে পারে চাঁদ।
অর্থাৎ চাঁদে ভবিষ্যতে বসতি স্থাপন করতে গেলে কেবলমাত্র যে বরফের উৎসের কাছেই করতে হবে এমনটা নয়। বরফ সব জায়গায় নেই, তবে মাটি সব জায়গাতেই রয়েছে। শ্বাসের জন্য অক্সিজেন তৈরি করতে ইলমেনাইটকে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাই চাঁদকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন সম্ভাবনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন