Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

চাঁদের মাটিতেই রয়েছে তেজস্ক্রিয় পদার্থ, যা মেটাতে পারে শক্তির চাহিদা

Moon-soil

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌চাঁদকে ঘিরে এতটা উৎসাহ কেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের? কেনই বা এত খরচ করে চাঁদকে জয় করতে মরিয়া প্রথম সারির বিভিন্ন দেশ? এর উত্তর হয়তো হবে শক্তির বীজ। কোন শক্তির বীজ লুকিয়ে আছে চাঁদের বুকে? সেটি কী এমন জিনিস? 

এই প্রশ্নের উত্তর আসলে হিলিয়াম। অনেক বিজ্ঞানীর মতে, চাঁদের বুকে এমন একটি জিনিস রয়েছে, যা পৃথিবীবাসীর কাছে বিরল। আর সেটি হল- হিলিয়াম থ্রি। পৃথিবীতে এই পদার্থের খোঁজ খুব একটা মেলে না। 

তবে এই পদার্থের রয়েছে আশ্চর্যরকম কিছু ক্ষমতা। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই হিলিয়াম থ্রি কোনও বর্জ্য ছাড়াই শক্তি উৎপাদনে সক্ষম। যার ফলে বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে এটি মহামূল্যবান। 

হিসেব করে দেখলে, ২ টন হিলিয়াম থ্রি সারা ভারতের এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করতে পারে। অর্থাৎ এই পদার্থটি যে দেশ পাবে, তাদের ভাগ্য যে বদলে যাবে তা নিশ্চিত। কারণ, ডিউটেরিয়ামের সঙ্গে হিলিয়াম-৩ ব্যবহার করে ফিউশন চুল্লিতে শক্তি উৎপাদন করা যেতে পারে। যদিও এটি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। 

তবে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, চুল্লির কন্টেনমেন্ট চেম্বার এই জাতীয় শক্তি ধারণ করে রাখতে পারলে এটি একটি কার্যকর শক্তির উৎস হয়ে উঠতে পারে। পৃথিবীর শক্তি উৎপাদনের চিন্তা দূর হওয়ার পাশাপাশি তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ভয়ও থাকবে না। 

আর এই সাফল্যের দোরগোড়ায় এখন দাঁড়িয়ে আছে আমাদের ভারত। ভারতের এবারের চন্দ্র অভিযান হয়তো সেই সাফল্যের সন্ধান পাবে। কারণ, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই লুকিয়ে রয়েছে রহস্যের ভাণ্ডার। 

তেজস্ক্রিয় মৌলের ভাণ্ডার রয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠের এই রুদ্ধদ্বারে। পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য নাকি সেখানেই লুকিয়ে। যার লোভে আমেরিকা, রাশিয়া, চিন বারে বারেই অভিযান চালানোর চেষ্টা করেছে চন্দ্রপৃষ্ঠের দক্ষিণ ভাগে। কিন্তু চাঁদের এই অংশ যতটা সম্ভাবনাময়, ততটাই বিপদসঙ্কুল। 

রোভার আরও কি কি নতুন তথ্য হাজির করবে? কোন কোন তথ্য বদলে দেবে ভারতের ভবিষ্যৎকে? এসব উত্তর হয়তো মিলবে সময়ের সঙ্গে। আর সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে দেড়শো কোটির দেশ ভারত।








‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন