সম্পদ দে : যাত্রীবাহী হোক কিম্বা পণ্যবাহী– সাধারণভাবে আমরা যে ট্রেনগুলিকে দেখে অভ্যস্ত, এই ট্রেনটি তার থেকে একেবারেই আলাদা। এই ট্রেনটি বর্তমানে ভারতের দীর্ঘতম ট্রেন হিসেবে পরিচিত। কিন্তু সেই ট্রেনের বগির সংখ্যা কত জানেন ? এই ট্রেনের মোট বগির সংখ্যা শুনলে আপনিও অবাক হবেন।
সুপার বাসুকি ট্রেনটির নাম খুব কম লোকেই হয়তো জানেন। এই ট্রেন ভারতের দীর্ঘতম ট্রেন হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতা দিবসের ৭৫তম বার্ষিকীতে এই ট্রেন চালু হয়েছিল। এই ট্রেনে ২৫ বা ৩০ টি নয়, রয়েছে ২৯৫ টি কোচ। জানলে অবাক হবেন যে, এই ট্রেনের দৈর্ঘ্য ৩.৫ কিলোমিটার।
নিশ্চয়ই ভাবছেন যে, এত বড় ট্রেনে প্রতিদিন কত যাত্রী যাতায়াত করে। তাহলে বলি, এটি যাত্রীবাহী ট্রেন নয়, এটি একটি সম্পূর্ণ পণ্যবাহী ট্রেন। এই ট্রেনটি প্রতিদিন ২৭,০০০ টন কয়লা নিয়ে ছত্তিশগড়ের কোরবা ছেড়ে নাগপুরের রাজনন্দগাঁও পৌঁছায়।
এই দূরত্বের পথ অতিক্রম করতে সম্পূর্ণ ১১ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় লাগে। এই ট্রেনটি যাওয়ার সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকলে দীর্ঘ সময় কেটে যাবে। সুপার বাসুকিকে একটি পণ্য ট্রেনের চেহারা দেওয়ার জন্য পাঁচটি পণ্য ট্রেনের রেক একসঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সারা দিনে ট্রেনে যতটা কয়লা বহন করা হয়, তা দিয়ে ৩০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরির জন্য যথেষ্ট। সাধারণ ট্রেনের চেয়ে এই ট্রেনের ধারণক্ষমতা ৩ গুণ বেশি। রেলওয়ে এর আগে অ্যানাকোন্ডা এবং শেশনাগের মতো ট্রেনও চালিয়েছিল।
কিন্তু এই বিশ্বে এমন একটি ট্রেনও আছে, যা বাসুকির চেয়ে দ্বিগুণ লম্বা ছিল। দ্য অস্ট্রেলিয়ান বিএইচপি আয়রন বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন। এই ট্রেনটি ২০০১ সালে শুরু হয়েছিল। এর দৈর্ঘ্য ছিল ৭.৩৫৩ কিলোমিটার। এটি ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে দীর্ঘতম ট্রেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন