সমকালীন প্রতিবেদন : পৃথিবীর প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলকে নিয়ে মানুষের কৌতূহল বহুকাল ধরেই রয়েছে। কারণ, পৃথিবী ও মঙ্গলের মধ্যে অনেক কিছু মিল রয়েছে। এই গ্রহের মাটি লাল হলেও সেখানে লুকিয়ে রয়েছে এমন কিছু বিষয়, যা থেকে সেই গ্রহে প্রানের অস্তিত্ব থাকা এক্কেবারে অসম্ভব নয়।
এমনকি লালগ্রহে প্রানের অস্তিত্ব নিয়েও বারেবারে চমকে দেওয়ার মতো সব তথ্য সামনে এসেছে। এবারেও ঘটলো তাই। মঙ্গলের মাটিতে মানুষের উরুর হাড়ের মতো কিছু একটা দেখা গেল। আর সেই ছবি ধরা পড়ল নাসার ক্যামেরায়।
জানা গেছে, ২০১৪-র কিউরিওসিটি নামের একটি রোভার মঙ্গল গ্রহে পাঠান আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। লাল গ্রহের বুকে বিশাল এলাকাজুড়ে ঘুরে বেড়িয়ে একাধিক ছবি পাঠিয়ে চলেছে এই নভোযান। সম্প্রতি তেমনই একটি ছবি বিশ্লেষণের সময় চোখ কপালে ওঠে নাসা-র গবেষকদের।
ছবিতে মঙ্গলের বুকে বড়সড় একটি হাড় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। ছবিতে থাকা ওই বস্তুটি এমনই ছিল, যা দেখতে অবিকল মানুষ বা বাঁদর-শিম্পাঞ্জির মতো মনুষ্য আকৃতির প্রাণীর ঊরুর হাড়ের মতো। হাড়টির বেশ কিছু অংশ ক্ষইতে শুরু করেছে বলেও ছবিতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে।
তবে এই প্ৰথম নয়, এর আগেও মঙ্গলের বুকে দেখা গেছে অনেক কিছুই, যার যুক্তি খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা। এর আগে মঙ্গলে পিরামিডের খোঁজের দাবি করেছিল নাসা। যদিও এই হাড় ও পিরামিড নিয়ে মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আমেরিকার গবেষকদের একাংশের দাবি, যেহেতু মঙ্গল পৃষ্ঠের গভীরে জলের হদিশ মিলেছে, সেহেতু এটা স্পষ্ট যে, একটা সময় গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। তবে কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেই প্রাণীগুলির বিলুপ্তি ঘটে। যদিও জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অপর অংশের দাবি, মঙ্গলে প্রাণের সঞ্চার হলেও মানুষের মতো উন্নত কোনও জীবের অস্তিত্ব সেখানে ছিল না।
আরেক বিজ্ঞানী দল এই দুই যুক্তিই মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, মঙ্গলের বুকে আদৌ কোনও হাড় পড়ে নেই। কিউরিওসিটি আসলে একটি পাথরের ছবি পাঠিয়েছে। নানা কারণে যা ক্ষইতে ক্ষইতে অবিকল মানুষের ঊরুর হাড়ের আকার নিয়েছে।
পিরামিডগুলিও একইভাবে তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তবে যাই হোক না কেন, এই ঘটনার জেরে মঙ্গলকে নিয়ে আরো কৌতূহল বেড়ে গেল সকলের। হয়তো আগামীতে পরবর্তী মঙ্গলযান পাঠাবে আমাদের দেশও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন