সমকালীন প্রতিবেদন : বড় মাপের সোনা চোরাচালান নিস্ফল করল বিএসএফ। সীমান্ত এলাকা থেকে ২৩ কেজি বিদেশি সোনাসহ পাচারকারী গ্রেপ্তার করা হল। মোটর সাইকেলে করে লুকিয়ে বাংলাদেশ থেকে এই সোনা আনা হয়েছিল। আটক করা সোনার মূল্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার রনঘাটের জওয়ানরা একটি সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাদের দায়িত্বের এলাকা থেকে ৫০টি সোনার বিস্কুট এবং ১৬ টি সোনার বার সহ এক চোরাকারবারীকে আটক করেছে। আটক করা সোনার ওজন ২৩ কেজি। এর আনুমানিক মূল্য ১৪ কোটি টাকা।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধে ৭টা নাগাদ সীমান্ত চৌকি রনঘাটের জওয়ানরা খবর পান যে, তাদের এলাকায় অবস্থিত ভ্যান মোড় দিয়ে সোনার বিশাল পাচার হতে চলেছে। এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমান্ডারের নেতৃত্বে একদল জওয়ান তৎক্ষণাৎ ভ্যান মোড়ে পৌঁছে রাস্তার ধারে আম্বুশ স্থাপন করেন।
কিছুক্ষণ পরেই জওয়ানরা এক সন্দেহজনক বাইক আরোহীকে ভ্যান মোড়ের দিকে আসতে দেখেন। বাইক আরোহী কাছাকাছি এলে জওয়ানরা তাকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই ব্যক্তি ঘাবড়ে যায় এবং বাইক ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করে।
কিন্তু সতর্ক জওয়ানেরা ঘটনাস্থলেই তাকে ধরে ফেলেন এবং বাইকসহ সীমান্ত চৌকি রনঘাটে নিয়ে যান। চৌকিতে পৌঁছে জওয়ানরা বাইকটিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করে। তল্লাশির সময় জওয়ানরা বাইকের এয়ার ফিল্টার থেকে সোনার বিশাল চালান খুঁজে পান।
জওয়ানরা এরপর সেই সোনা বাজেয়াপ্ত করেন। গ্রেপ্তার করা হয় ইন্দ্রজিৎ পাত্র নাম ওই পাচারকারীকে। তার বাড়ি বাগদা থানার কুলিয়া গ্রামে। সে এই সোনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনার চেষ্টা করছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারী জানায়, আউলডাঙা গ্রামে তার ভাইয়ের একটি জুয়েলারি দোকান রয়েছে। সে তার ভাইয়ের সঙ্গে জুয়েলারির কাজ করে। সে আরও জানায়, কিছুদিন আগে রনঘাট গ্রামের বাসিন্দা সমীর তার সঙ্গে দেখা করে।
রনঘাট থেকে বনগাঁয় সোনা পৌঁছানোর জন্য সমীর তার সঙ্গে চুক্তি করেছিল। সে সমীরের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকা পাওয়ার প্রস্তাব পায়। আজ সমীর কুলিয়া গ্রামে তার বাড়ির কাছে এই সোনা তার হাতে তুলে দেয়। এরপর সে এই সোনা বাইকের এয়ার ফিল্টারে লুকিয়ে ভ্যান মোড় হয়ে বনগাঁয় নিয়ে যাচ্ছিল।
গ্রেফতার চোরাকারবারী ও বাজেয়াপ্ত সোনা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য বাগদা শুল্ক অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর বিএসএফ-এর দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে ১১৪ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিল। এ বছর এখনও পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত থেকে ১২০ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন