সমকালীন প্রতিবেদন : আগস্ট মাসটা ভারতের কাছে অনেক দিক থেকেই মনে রাখার মতো। এই আগস্টেই স্বাধীন হয়েছিল ভারত, আবার এই আগস্ট মাসেই চাঁদে পা রেখেছে আমাদের দেশ। পৃথিবীর মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় করেছে ভারত।
তবে শুধু পা রাখা নয়, সফলভাবে ল্যান্ডিং করে সেই মেরুস্থানে নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান। এখন তাদের কাজ মোটামুটি শেষ। কাজ শেষে এখন রাতের ঘুমে আচ্ছন্ন বিক্রম এবং প্রজ্ঞান।
এর মাঝেই আবার সূর্যের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে ভারতের সূর্য অভিযানের কান্ডারি আদিত্য-এল-ওয়ান। সেটি ল্যাগারিজিয়ন পয়েন্ট থেকে সূর্যের একাধিক বিষয়কে নিয়ে গবেষণা চালাবে। আজ পর্যন্ত সেখানে কিন্তু পা রেখেছে হাতে গোনা কয়েকটি দেশ।
তাই সূর্যের নানা অজানা বিষয়কে সামনে আনতেই ভারতের এই বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, বরং এটাকেই শুরু বলা যায়। কারণ, আগামী কয়েকবছরে মহাকাশ নিয়ে গবেষণায় একের পর এক অভিযান করবে ভারত। একথা সদর্পে জানিয়ে দিয়েছে ইসরো।
এর মধ্যে প্রথমেই বলতে হবে গগনযান ১-র কথা। চলতি বছরের শেষে একটি নভোযান পরীক্ষা করবেন ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এই যান মহাশূন্যে মানুষ নিয়ে যেতে সমক্ষ। তবে পরীক্ষার সময় সেখানে কোনও নভশ্চর থাকবেন না বলে ইসরো সূত্রে জানা গেছে।
কিছুদিনের মধ্যেই মহাকাশে নভচারী পাঠাবে ভারত। সেই লক্ষ্যে নভশ্চরদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। ২০২৩ এর শেষে বা ২০২৪ এর শুরুতে গগনযান–২ মিশনের পরীক্ষা চালাবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। সেখানেও পৃথিবীর কক্ষপথ পর্যন্ত এমন মহাকাশযান পাঠানো হবে, যা নভশ্চর নিয়ে যেতে সক্ষম। মহাকাশচারী কেউ অবশ্য তাতে থাকবেন না।
চন্দ্রযান–৩ এর উপর ভিত্তি করে এবার শুক্র অভিযান শুরু করতে চলেছে ইসরো। আগামী বছর সৌরজগতের দ্বিতীয় গ্রহটির অক্ষপথে নভোযান পাঠাবেন ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
সেই যানটি শুক্রগ্রহের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে বলে জানা গেছে। তবে এখানেই গ্রহ অভিযান শেষ হচ্ছে না। কারণ, এরপর মঙ্গলে দ্বিতীয়বার অভিযান চালাবে ভারত। উল্লেখ্য, ২০১৩-১৪ সালে মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে মহাকাশযান পাঠায় ভারত।
ফের একই রকমের অভিযান চালাবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। যার পোশাকি নাম মার্স অরবিটার মিশন-২ বা মম-২। তাই একথা বলা যায় যে, সাফল্যের একাধিক খবর হয়তো আসতে চলেছে আগামী ১ বছরের মধ্যেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন