Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বহু মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে বুধ গোচর যোগ

Budh-Gochar-Yoga

সমকালীন প্রতিবেদন : ভারতের সনাতনী সংস্কৃতি হল বহু প্ৰাচীন একটি সংস্কৃতি। অনেক প্ৰাচীন শাস্ত্র, বেদ অনুসারে অনেকভাবে গণনা করা হয় মানুষের জীবন। ভারতের প্রাচীনতম শাস্ত্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল জ্যোতিষশাস্ত্র। 

প্রাচীন জ্যোতিষে ১২টি রাশি, তথা- মেষ, বৃষ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন-এর ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। একইরকমভাবে ২৩টি গ্রহ ও নক্ষত্রেরও স্থান বদলেও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়ে থাকে জ্যোতিষশাস্ত্রে।

এছাড়াও, বিভিন্ন গ্রহ ও নক্ষত্রের অবস্থানের গণনা করে রাশিফল তৈরি করা হয়। প্রতিটি সময়ে প্রতিটি মানুষের উপর গ্রহ ‌এবং নক্ষত্রের প্রভাব আলাদা হয়। সেই কারণেই প্রতিদিনের রাশিফল গণনায় মোটামুটি এই বিষয়টি স্পষ্ট হয় যে, সময়টি জাতক বা জাতিকার কেমন কাটতে চলেছে। আর এই রাশিফলের উপর অনেকেই বিশ্বাস করে চলেন।

এদিকে সামনেই আসছে এক মহাযোগ। আগামী ১ অক্টোবর বুধ গ্রহটি সিংহ রাশি ছেড়ে কন্যা রাশিতে গমন করবে। এর ফলে পাঁচ রাশির জাতক এবং জাতিকারা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। তাঁদের ভাগ্যের দরজা খুলতে চলেছে। 

আর এই পাঁচ রাশি হল বৃষ, সিংহ, কন্যা, মকর ও কুম্ভ। গণনা অনুসারে, বৃষ রাশির জাতকরা এই সময়ে কর্মক্ষেত্রে সাফল্য পাবেন। তাদের পারিবারিক জীবন সুখ এবং শান্তিতে ভরে উঠবে। এছাড়াও, দাম্পত্য জীবনে আনন্দ আসবে। 

এই সময়ে সিংহ রাশির জাতকদের অর্থভাগ্য ভাল হবে। তাদের আয়বৃদ্ধির সম্ভাবনাও রয়েছে। এছাড়াও, তারা পরিবারের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন। 

শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কাছে এই সময়টা আশীর্বাদের মতো। ব্যবসার জন্যেও সময়টি শুভ। কন্যা রাশির জাতকদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। নতুন কাজ করার জন্য শুভ সময় এটি। কাজ করে সাফল্য পাবেন। ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। 

মকর রাশির জাতককে এই সময়ে তার ভাগ্য পূর্ণ সমর্থন করবে। এই সময়টি আশীর্বাদের মতো। শত্রুর হাত থেকে মুক্তি পাবেন। মা লক্ষ্মীর বিশেষ আশীর্বাদ পাবেন। 

এছাড়াও, কুম্ভ রাশির জাতকরা, বিশেষ করে যারা বক্তৃতার সঙ্গে যুক্ত, তারা বিশেষভাবে সাফল্য পাবেন। পারিবারিক সুখ এবং মায়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। বাড়ি-গাড়ির আরাম পাবেন। বুদ্ধি এবং লেখার ক্ষমতা বাড়বে। সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন।

* প্রতিবেদনটি জ্যোতিষ শাস্ত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সাজানো হয়েছে। কোনরূপ কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসকে প্রশ্রয় দেওয়া ই-সমকালীনের উদ্দেশ্য নয়।‌


‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন