সমকালীন প্রতিবেদন : চন্দ্রযান ৩-এর রোভার প্রজ্ঞানকে ঘিরে গোটা ভারতের অনেক আশা রয়েছে বিগত একমাস ধরে। কারণ, প্রজ্ঞানে মোট ৬টি চাকা রয়েছে। এটি সেকেন্ডে মাত্র এক সেন্টিমিটার করে এগোতে পারে।
এই চন্দ্রাভিযানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে প্রজ্ঞানই। সেখান থেকে তথ্য পৃথিবীতে পাঠায় চন্দ্রযান ৩-এর রোভার। এই রোভারের চাকায় ইসরোর এবং ভারতের জাতীয় প্রতীক খোদাই করা রয়েছে।
তাই যখন এই রোভার এগোবে, এটি ইসরো এবং ভারতের প্রতীকের ছাপ ফেলতে থাকে চাঁদের মাটিতে। কিন্তু জানা যাচ্ছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে সেই ছাপগুলি স্পষ্টভাবে পড়েনি।
তবে তাতে খুশি ইসরো। কারণ, বিজ্ঞানীদের মতে এটি নাকি 'ভালো সংকেত'। এর কারণ ঠিক কি? মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদের মাটিতে অশোক স্তম্ভ এবং ইসরোর লোগো স্পষ্ট না হওয়া একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত।
এর ফলে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা হল। এই দক্ষিণ মেরুই ভবিষ্যতেই বহু চন্দ্র মিশনের সাক্ষী হতে চলেছে। কারণ, এখানে জলের অস্তিত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর এই মাটিই বলে দেবে আগামীদিনে চাঁদে বসতি গড়ার সম্ভাবনা কতটা।
ফলে প্রজ্ঞানের পদচিহ্ন স্পষ্ট না হওয়াও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এই বিষয়ে ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন, 'অশোকস্তম্ভ এবং ইসরোর লোগোর অস্পষ্ট ছাপ একটি নতুন দিশা দেখিয়েছে আমাদের। আমরা আগে থেকেই জানতাম এই মাটি অনেকটাই আলাদা।'
'কিন্তু, আমাদের দেখার ছিল কোন বিষয়টির জন্য এই মাটি এতটা আলাদা। চাঁদের মাটিতে একদম ধুলো নেই। এই মাটি অনেকটা ডেলা পাকানো। অর্থাৎ কোনও জিনিস মাটিতে আটকে রয়েছে। এটাই আমাদের পরীক্ষা করতে হবে, কোন জিনিসের কারণে মাটি এতটা ডেলা পাকানো।'
তাই এখন অপেক্ষা বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের ঘুম ভাঙানোর। ঘুম ভাঙলেই হয়তো চাঁদের মাটি খুঁড়ে জল বার করতে সক্ষম হবে তারা। আর তা হলে ফের চাঁদের বুকে এক অন্য সিংহাসনে বসবে ভারত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন