সমকালীন প্রতিবেদন : আমাদের এই মহা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অনেক রহস্যই এখনও অধরা। কারণ সুবিশাল এই মহাশূন্য, যেখানে ভেসে বেড়াচ্ছি আমরা সকলেই, সেখানেই রয়েছে আরও লক্ষ লক্ষ ছায়াপথ। আর সেইসব ছায়াপথের মধ্যে সূর্যের মতো কোটি কোটি নক্ষত্র এবং তাদের গ্রহ ও উপগ্রহ রয়েছে।
তাই একথা হাওয়ায় উড়িয়ে দেওয়া যায় না যে, এই মহাবিশ্বে আর এমন কোনও গ্রহ নেই, যেখানে পৃথিবীর মতো জীবকুল নেই। কারণ, অজানার গভীরে এখনও হয়তো লুকিয়ে রয়েছে কিছু রহস্যময় সত্য। তাই এখানেই আসে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের অস্তিত্বের কথা।
বিভিন্ন সিনেমায় ইতিমধ্যে এলিয়েনদের অদ্ভুত সব চেহারা কল্পনা করা হয়েছে। সেইসব কল্পবিজ্ঞানের সিনেমায় এটাও দেখানো হয়েছে যে, কিভাবে ইউএফও'তে করে অদ্ভুতদর্শন সব ভিনগ্রহের প্রাণীরা আসছে পৃথিবীতে। কিন্তু বাস্তবেই যে তেমনটা ঘটে, তা জানতেন না কেউই। তবে এবার প্রকাশ্যে এল এলিয়েনদের চেহারা। আর তা করে দেখাল মেক্সিকো।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, মেক্সিকান পার্লামেন্টে দুই এলিয়েনের জীবাশ্মকে সামনে এনেছেন বিজ্ঞানীরা। পেরুর কুজকো থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। তাদের দাবি, ভিনগ্রহের দেহগুলি হাজার বছরের পুরনো।
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দুটি কাঠের বাক্সে অদ্ভুত দুই দেহ দেখা যাচ্ছে, যার সঙ্গে মানুষের চেহারার কোনও মিল নেই। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই দু’টি দেহ পৃথিবীর কোনও প্রাণীর নয়। এদেরকে ইউএফও-র ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দু’টোই বর্তমানে জীবাশ্মে পরিণত হয়েছে।
বিজ্ঞানী মাউসন জানান, ইউএফও-র নমুনাগুলি সম্প্রতি মেক্সিকোর অটোনোমাস ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষা করা হয়েছিল। যেখানে বিজ্ঞানীরা রেডিওকার্বন ডেটিং-এর সাহায্যে ডিএনএ পরীক্ষা করেন।
আর তা থেকেই জানতে পারেন যে, এরা পৃথিবীর অংশ নয়। অর্থাৎ, প্রাথমিকভাবে এটা বলা হয়েছে যে, পৃথিবীর টেরেস্টিয়াল ইভলিউশানের মধ্যে দিয়ে এরকম কোনও মানুষ বা প্রাণীর সৃষ্টি হয়নি।
তবে এগুলিকে এলিয়েন বলে জানিয়ে দিয়েছে মেক্সিকো। তাদের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী ছিল আমেরিকাও। তাহলে কি এখনও পৃথিবীতে যাতায়াত রয়েছে এলিয়েনদের? পৃথিবীর বুকেই কোনও গোপন স্থানেই রয়েছে তাদের আস্তানা? প্রশ্নটা কিন্তু উঠছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন