সমকালীন প্রতিবেদন : শনিবার নির্ধারিত ১১ টা ৫০ মিনিটেই সূর্য মিশনে রওনা দিল আদিত্য এল-1. সূর্য সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয় জানার জন্য ইসরোর এই মিশন। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকেই সূর্যের কাছাকাছি যাচ্ছে আদিত্য এল-1. এদিন এই মহাকাশযানটি কে উৎক্ষেপণ করে 'এল 1 পয়েন্টে' এই প্রতিস্থাপিত করাই লক্ষ্য ইসরোর।
চাঁদের থেকে সূর্যের পথে যাওয়া আরও কঠিন। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্বও বেশি। পৃথিবী থেকে ১.৫ মিলিয়ন বা ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে সূর্যের শেষ অক্ষে পাঠানো হবে ইসরোর সৌরযান আদিত্য-এল 1 মহাকাশযানকে। গনগনে সূর্যের তেজ এড়িয়ে সৌররশ্মিদের ঝাপটা সামলে সূর্যের পাড়ায় পৌঁছনো সহজ কথা নয়।
এতে বিপদ বেশি। পদে পদে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে আদিত্য-এল 1 সৌরযানকে। ইসরো জানিয়েছে, পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে সূর্য ও পৃথিবীর মাঝের এক কক্ষপথ ‘ল্যাগরাঞ্জিয়ান পয়েন্ট’ বা ‘ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট’-এ বসিয়ে দেওয়া হবে স্যাটেলাইট আদিত্য এল-1 কে। সূর্যে পৌঁছতে সময় লাগবে প্রায় চার মাস।
সূর্যের বাইরের সবচেয়ে উত্তপ্ত স্তর করোনার যাবতীয় তথ্য সে তুলে দেবে আমাদের হাতে। এই সোলার-মিশন তাই সবদিক দিয়েই খুব গুরুত্বপূর্ণ। খুব কাছ থেকে আদিত্য এল-1 পর্যবেক্ষণ করবে সূর্যের সমস্ত গতিবিধি। সাক্ষী থাকবে সূর্যগ্রহণ, সৌরঝড় সহ সূর্যের নানাবিধ পরিস্থিতির। আর এই সমস্ত কিছু ছবি তুলে ইসরোকে পাঠাবে সৌরযান আদিত্য এল-1.
জ্বালানি-সহ প্রায় ১৫০০ কিলোগ্রাম ওজনের এই উপগ্রহ সাতটা সায়েন্স পে-লোড নিয়ে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষ ৮০০ কিলোমিটার থেকে ‘হলো অরবিট ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট’-এর দিকে যাত্রা করেছে। জানা গেছে, আদিত্য-এল 1 মিশন সাতটি পে-লোড নিয়ে মহাকাশে যাচ্ছে।
সূর্যের করোনা ও ফোটোস্পিয়ার, ক্রোমোস্পিয়ারের পর্যবেক্ষণ করবে বিভিন্ন ওয়েভব্যান্ড থেকে। তাই সেখান থেকে নানা তথ্য তুলে আনাটাই এখন প্রধান লক্ষ্য ভারতের। এমনটা হলে হয়তো মহাকাশ গবেষণার জগতে এক নতুন অধ্যায় লিখবে আমাদের দেশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন