সমকালীন প্রতিবেদন : ২০১৬ সালে সর্বপ্রথম ভারতের বাজারে ২০০০ টাকার নোট ছাড়া হয়। ৮ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে গোটা দেশে নোটবন্দি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক ১০০০ এবং ৫০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেয়। এরপর ১০ নভেম্বর ২০১৬ থেকে নতুন ২০০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ে। এটিও আগের মতো গান্ধী সিরিজের নোট ছিল। তবে নতুন আকারে এবং নতুন সজ্জায় এই নোট বাজারে আসে।
কয়েকমাস আগে পর্যন্ত বাজারের সবথেকে বড় নোট ছিল এই ২০০০ টাকার নোটটি। যদিও এর আগে এই শিরোপা ছিল আরেক নোটের হাতে। সেটি ছিল ১০ হাজার টাকার নোট। কিন্তু ১৯৭৮ সালের জানুয়ারি মাসে রিজার্ভ ব্যাংক বাজার থেকে ১০,০০০ টাকার নোট তুলে নেয়। আর এবার ২০০০ টাকার নোটের ভবিষ্যৎও সেটাই হতে চলেছে।
২০২৩ সালের মে মাসে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। তা সত্ত্বেও নোটগুলো ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত চালু থাকবে– এমনটাই ঘোষণা করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। জানানো হয় যে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিনিময় বা জমা করা যাবে এই নোটগুলি। তবে তার ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্তই। আর সেই তারিখ এখন আসন্ন।
উল্লেখ্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, যে কোনও ব্যক্তি যত ইচ্ছে ২ হাজার টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা করতে পারেন। এর কোনও নির্দিষ্ট সীমা নেই। এমনকি কোনও আইডি প্রুফ বা রিক্যুয়েস্ট স্লিপ ছাড়াই জমা করা যাবে ২ হাজার টাকার নোট।
তবে কেউ যদি ২০ হাজার টাকার বেশি এই নোট অ্যাকাউন্টে জমা করতে চান, তাহলে তার রিকুইজিশন স্লিপ লাগবে। ব্যাঙ্কের পাশাপাশি আরবিআইয়ের ১৯টি আঞ্চলিক দফতরে গিয়েও ২ হাজার টাকার নোট জমা করতে পারবেন গ্রাহকেরা।
এই নিয়ম জারির ফলাফল হিসেবে আরবিআই-এর হিসেব বলছে, ৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলিতে যে পরিমাণ ২ হাজার টাকার নোট জমা পড়েছে, তার অর্থমূল্য মোট ৩.৩২ লক্ষ কোটি টাকা।
আরবিআই-এর হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৯৩ শতাংশ ২ হাজার টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে। সেপ্টেম্বরের হিসেব ধরলে এই শতাংশটা আরও বেড়ে যাবে।
এদিকে, আগামী ১ অক্টোবর ২ হাজার টাকার নোটের ভবিষ্যত্ নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে আরবিআই। বোঝা যাবে, যে সব ২ হাজার টাকার নোট ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেও জমা পড়ছে না, সেগুলির ভবিষ্যত্ কী হতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন