সমকালীন প্রতিবেদন : প্রধানের পদ সহ পঞ্চায়েতে তৃণমূল বোর্ড গঠন করলেও উপপ্রধানের পদ ছাড়তে হল বিজেপিকে। কারণ, এই পঞ্চায়েতে উপপ্রধানের পদটি তপশিলী উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত। আর তৃণমূলের কোনও তপশিলী উপজাতি প্রার্থী এখানে জয়লাভ করেন নি। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ব্লকের দিঘারী গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
শনিবার দিঘারী গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হল। এখানে ১৬ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একাই ১১ টি আসনে জয়লাভ করেছে। বিজেপি পেয়েছে ৫ টি আসন। প্রধান হয়েছেন সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানেই উপপ্রধানের পদটি তপশিলী উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় এই পদটি বিজেপিকে ছাড়তে হল। উপপ্রধান হয়েছেন বিজেপির সাধনা মুন্ডারী।
এদিকে, বাগদা ব্লকের আষাঢ়ু গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে প্রধান, উপপ্রধানের নাম খামবন্দি করে পাঠানোয় দলের কর্মীদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়। এই পঞ্চায়েতের ৩০ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২২ টি, কংগ্রেস ২ টি, বিজেপি ৩ টি, সিপিএম ২ টি এবং নির্দল ১ আসনে জয়ী হয়েছে। প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন সুমনা মন্ডল আর উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন ইউনুস মন্ডল।
অন্যদিকে, বাগদার হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন করল বিজেপি। ২২ আসন বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে ১৫ টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। ৬ টি তে তৃণমূল এবং ১ টি আসনে জয়লাভ করেছেন নির্দল প্রার্থী। প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপির রুপা হালদার এবং উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন স্বপন হাওলাদার।
এদিন হেলেঞ্চা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবং বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মন্ডল। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, কর্মের মাধ্যমে হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত দৃষ্টান্ত তৈরি করবে। হেলেঞ্চার মানুষ তৃণমূলকে মুছে দিয়েছে।
: নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে ভিডিও প্রতিবেদন দেখুন :
গাইঘাটা ব্লকের ফুলসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪ টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১২ টি, তৃণমূল পেয়েছে ১১ টি এবং নির্দল পেয়েছে ১ টি আসন। এই পরিস্থিতিতে টসের মাধ্যমে বিজেপির প্রধান এবং নির্দলের উপপ্রধান নির্বাচিত হল। প্রধান হলেন টুসি রায়সেন এবং উপপ্রধান হলেন রজতকুমার মিত্র।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন