সমকালীন প্রতিবেদন : ভিন রাজ্যে চাকরি করতে গিয়ে অপহৃত ইঞ্জিনিয়ার যুবক নিজের বুদ্ধির জোরে ২০ দিন পর বাড়ি ফিরতে সমর্থ হলেন। তাঁর এই অপহরণের ঘটনা একেবারে থ্রিলার মুভির প্রেক্ষাপট। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি থানা এলাকার যুবকের সঙ্গে এমন কান্ড ঘটেছে।
সন্দেশখালি থানার কোড়াকাটি গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত মন্ডল এবং তপতী মন্ডলের একমাত্র ছেলে তপোব্রত মণ্ডল। আইটিআই ইঞ্জিনিয়ার তপোব্রত একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরিতে যুক্ত হতে ১৮ জুলাই গুজরাটের আমদাবাদের উদ্দেশ্যে সন্দেশখালির বাড়ি থেকে রওনা দেন।
২০ জুলাই সেখানে পৌঁছানোর পর থেকে হঠাৎ করেই বাড়ির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বাড়ির লোকেরা একাধিকবার তাঁর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সেটি সুইচ অফ বলে। এরপর যে বেসরকারি কোম্পানিতে তিনি চাকরি করার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন, তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সেখান থেকে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায় নি।
এই পরিস্থিতিতে পরিবারের লোকেরা সন্দেশখালি থানার সহযোগিতায় আমেদাবাদে পৌঁছান। সেখানে কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললেও তারা তপোব্রতর ব্যাপারে কোনও আগ্রহ দেখায় নি। অবশেষে তাঁরা গুজরাট পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু সেখানেও কোনও সহযোগিতা মেলে নি।
এদিকে, গত ২ আগস্ট তপোব্রতর গ্রাম কোড়াকাটির বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধি প্রণব রায়ে ফোনে অচেনা নম্বর থেকে একটি ফোন আসেন। ফোনের অপর প্রান্তে তপোব্রতর গলা শুনতে পাওয়া যায়। তিনি তখন প্রণববাবুকে জানান, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর ৫ আগস্ট রাতে কোড়াকাটি গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন তপোব্রত।
বাড়ি ফেরার পর তপোব্রত জানান, আমেদাবাদ স্টেশনে নামামাত্রই স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে এক অটোওয়ালা সহ তিন যুবক তাঁকে অপহরণ করে। তারপর তাঁকে আমেদাবাদের বানসারা এলাকার একটি চালের মিলে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১২ দিন ওখানে আটক থাকার পর কোনওরকমে তিনি ফোনে প্রণব রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রণববাবু এরপর আমেদাবাদের বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তপোব্রতকে তিনি একটি গাড়ির নম্বরও দেন। গাড়ি আসা মাত্রই সেই গাড়িতে চেপে সোজা চলে যান আমেদাবাদ স্টেশনে। সেখান থেকে একেবারে সন্দেশখালির বাড়িতে এসে পৌঁছান তপোব্রত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন