সমকালীন প্রতিবেদন : দুদিনের বৃষ্টির পর নতুন করে গরমে, ঘামে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। একদিকে তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি বেড়ে গিয়ে যেমন গরমে কষ্ট হচ্ছে, তেমনই আদ্রতা বেশি থাকায় ঘাম হচ্ছে। আর তার থেকেই বাড়ছে অস্বস্তি। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে স্বস্তির খবর শোনালো আবহাওয়া দপ্তর।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গরমের এই অস্বস্তি বজায় থাকলেও শনিবার থেকে ফের পরিস্থিতির বদল ঘটবে দক্ষিণবঙ্গে। নতুন করে বৃষ্টি শুরু হবে। আর তাতে বেশ খানিকটা স্বস্তি মিলবে দক্ষিণবঙ্গবাসীর। যদিও উত্তরবঙ্গে তুলনায় কম বৃষ্টি হবে।
এমননিতেই এবছর রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে। ফলে গরম কিছুতেই কমছে না। দিন কয়েক আগে দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় সাময়িকভাবে স্বস্তি মিলেছিল। কিন্তু সেই পরিস্থিতির বদল ঘটে ফের কড়া রোদ ওঠায় নতুন করে গরমে কষ্ট পেতে হচ্ছে রাজ্যের বাসিন্দাদের।
অন্যান্যবারের তুলনায় এবছর দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা দুর্বল হওয়ায় বৃষ্টির এই ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তুলনায় বৃষ্টি বেশি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। আবহাওয়া দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৩ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। আর শুধু দক্ষিণবঙ্গে এই ঘাটতির পরিমান ২৮ শতাংশ।
রাজ্যের যে ১৪ টি জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে, তারমধ্যে দক্ষিণবঙ্গেরই ১৩ টি জেলা রয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি সবথেকে বেশি। এখানে ঘাটতির পরিমাণ ৪১ শতাংশ। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ গড়ে ২৭ থেকে ৩৯ শতাংশ। তবে বৃষ্টির ঘাটতি নেই পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনায়।
এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণবঙ্গবাসীর জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। তারা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গরমের এই অস্বস্তি বজায় থাকলেও শনিবার থেকে রাজ্যে ফের বৃষ্টি শুরু হবে। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে এই বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হলেও তুলনায় কম হবে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার থেকে কমবেশি বৃষ্টি শুরু হবে। আর এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে বুধবার পর্যন্ত। আর এর ফলে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। গরম এবং ঘর্মাক্ত পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। মিলবে স্বস্তি।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, এবছর বর্ষারেখা দক্ষিণবঙ্গে সেভাবে স্থায়ী না হওয়ায় বৃষ্টি কম হচ্ছে। বর্ষারেখা উত্তরবঙ্গ হয়ে ওড়িশার দিকেই বেশি ছিল।
নতুন পরিস্থিতি অনুযায়ী বর্ষারেখার একটি অংশ উত্তরপ্রদেশ, বিহার হয়ে এই রাজ্যের বাঁকুড়া, দিঘা হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। আর সেই কারণেই দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলার পাশাপাশি অন্যান্য জেলায় পর্যায়ক্রমে বৃষ্টি হবে। আর তাতেই তাপমাত্রা কমে মিলবে স্বস্তি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন