সমকালীন প্রতিবেদন : সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকতার জন্য বি.এড ও প্রাথমিকে শিক্ষকতার জন্য ডি.এল.এড পাশ করা ছিল বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই রাজ্যে বি.এড পাশ করা প্রার্থীরাও প্রাথমিকে বসার সুযোগ পেতেন এবং চাকরিও পেতেন।
তবে এই মুহূর্তে দেশের শীর্ষ আদালতের একটি রায়ে গভীর সঙ্কটে পড়লেন দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনে বসে থাকা বহু চাকরিপ্রার্থী। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের ফলে তাঁরা কার্যত প্রাথমিকস্তরে শিক্ষকতার নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকেই বাদ পড়তে চলেছেন।
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সুপ্রিমকোর্টের নয়া নির্দেশের ফলে অন্যান্য রাজ্যের বহু বিএড পাশ করা চাকরিপ্রার্থী বিপাকে পড়বেন। এই বিষয়ে অবশ্য কলকাতা উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষন ছিল অন্যরকম। রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসার পর গত বছর একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, বিএড প্রশিক্ষিতরাও প্রাথমিকের চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ারের ডিভিশন বেঞ্চের শুক্রবারের রায়ের ফলে ওই নির্দেশ খারিজ হয়ে গেল। ফলে আরও সঙ্কটে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, একাধিক রাজ্য এই নির্দেশের ফলে সঙ্কটে পড়বে।
সুপ্রিম কোর্টের দীর্ঘ শুনানি শেষে সর্বোচ্চ আদালত এদিন এই নির্দেশ শোনায়। শুধু তাই নয়, এই নীতি গোটা দেশ জুড়ে কার্যকর হবে বলেও নির্দেশে জানিয়েছে বেঞ্চ। আর এই নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে শিক্ষা মহল। এই নির্দেশে চাকরি প্রার্থীদের বড় অংশ ধাক্কা খাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
: ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :
শুধু তাই নয়, শিক্ষক নিয়োগে অনেক প্রতিযোগিতাও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলিতে বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা শিক্ষকতা করার সুযোগ পান। অন্যদিকে, ডিএলএড কিংবা ডিএড ডিগ্রি রয়েছে যাদের, তাদের প্রাথমিক স্তরে শিক্ষকতা করার সুযোগ থাকে।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষন, যদি বিএড ডিগ্রিধারীরা প্রাথমিক স্তরের বিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ পান, তাহলে বঞ্চিত হচ্ছেন ডিএলএড প্রার্থীরা। শুধুমাত্র বাংলাতেই নয়, দেশের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই নিয়ে একটা ক্ষোভ ছিল প্রশিক্ষিতদের মধ্যে। বিশেষ করে বিএড চাকরি প্রার্থীদের কেন প্রাথমিক নিয়োগে সুযোগ দেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বহু চাকরিপ্রার্থীই।
আজ, শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হল বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে। শুনানির শেষে তাঁরা জানান যে, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকতার নিয়োগে শুধুমাত্র ডিএড বা ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই অংশ নিতে পারবেন। বিএড ডিগ্রিধারীরা নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন