সমকালীন প্রতিবেদন : প্রায় শেষ ধাপে এসে পৌঁছেছে চন্দ্রযান-৩। আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর শুভ কামনা নিয়ে চন্দ্রযান-৩ নামতে চলেছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। চাঁদের মাটিতে নামার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল।
বুধবার ইসরোর চন্দ্রযান-৩ চাঁদকে শেষবার পরিক্রমা করে নিল। এদিন চন্দ্রযান-৩ পৌঁছে গেল প্রায় বৃত্তাকার কক্ষপথে। সেইসঙ্গে শুরু হয়ে গেল চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমের বিচ্ছিন্নকরণ প্রক্রিয়া। হাতে গোনা আর কয়েকদিন বাকি। তারপরই ২৩ অগাস্ট মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা।
এবার আর আগের মতো 'তীরে এসে তরি ডুববে না' - এই বিশ্বাস ক্রমাগত জোরালো হচ্ছে ইসরোর। ইসরো তাদের সর্বশেষ আপডেটে জানিয়েছে, চন্দ্রযান-৩ কক্ষপথ হ্রাস কৌশল সম্পাদন করে ১৫৩ কিমিx১৬৩ কিমি কক্ষপথে পৌঁছে গিয়েছে।
১৭ অগাস্ট অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ল্যান্ডার বিক্রম বিচ্ছিন্নকরণ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। সেইসঙ্গে শুরু হচ্ছে ডিবুস্ট অর্থাৎ মন্থর হওয়ার প্রক্রিয়াও। বলা যায়, এখন থেকেই শুরু হলো সফট ল্যান্ডিং প্রক্রিয়া। এবার শেষ মুহূর্ত। সবদিক দিয়ে প্রস্তুত ইসরো।
ইসরো জানিয়েছে, চন্দ্রযান-৩ শেষবার চাঁদের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে ঘণ্টায় ৬০৪৮ কিলোমিটার গতিতে। এরপরই গতি কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। চাঁদে কক্ষপথ হ্রাসের কৌশল সম্পাদন করে বৃত্তাকার কক্ষপথে প্রবেশ করার পর চন্দ্রযান-৩ মডিউল থেকে বৃহস্পতিবার বিক্রম ল্যান্ডার বিচ্ছিন্নকরণ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
এবার সরাসরি ৩০ কিমিতে নামার পথে জেট প্রপালশন মডিউল থেকে আলাদা হবে বিক্রম ল্যান্ডার। প্রজ্ঞান রোভারকে নিয়ে বিক্রম ল্যান্ডার এরপর ডানা মেলে নামতে থাকবে চাঁদের মাটিতে।
২৩ অগাস্ট চাঁদে নামবে বিক্রম। সেইসময় ল্যান্ডারের গতি কমিয়ে আনা হবে ৩ মিটার প্রতি সেকেন্ডে। অর্থাৎ ল্যান্ডারের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১০ কিলোমটারের একটু বেশি বা ১১ কিলোমিটারের একটু কম। এই প্রক্রিয়া খুবই কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে এবার সহজেই এই চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করতে পারবে ইসরো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন