সমকালীন প্রতিবেদন : বিরোধী শিবির থেকে ভোটে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন দুই জয়ী প্রার্থী। আর এর ফলে গোটা গ্রাম পঞ্চায়েতটাই বিরোধীশূন্য হয়ে গেল। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরুপনগর ব্লকের তেপুল মির্জাপুর পঞ্চায়েতের ঘটনা। যদিও এই ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি বিরোধীরা।
স্বরুপনগর ব্লকের ২২ আসনবিশিষ্ট তেপুল মির্জাপুর পঞ্চায়েতে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২০ টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল। ১ টি আসনে কংগ্রেস এবং আর একটি আসনে নির্দল প্রার্থী জয়ী হন। তৃমমূল একাই ২০ টি আসনে জয়লাভ করায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে চলেছে তৃণমূল।
এই পরিস্থিতিতে এই পঞ্চায়েতের জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী হাফিজুর রহমান এবং জয়ী নির্দল প্রার্থী শৈবাল তরফদার তৃণমূলে যোগদান করলেন। বৃহস্পতিবার তারা দুজন বনগাঁয় এসে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন।
গত কয়েকদিনে বিরোধী শিবির থেকে যারা যারা তৃণমূলে যোগদান করেছেন, তাদের সুরে সুর মিলিয়ে এই দুই দলবদলকারীও জানালেন, মমতা ব্যানার্জীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে, তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের কাজে সামিল হতেই তারা দল বদল করে তৃণমূলে যোগদান করলেন।
যদিও এব্যাপারে জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কৃষ্ণপদ চন্দের দাবি, উন্নয়নের কথা বলে তৃণমূল গোটা রাজ্যকে বিরোধীশূন্য করতে চাইছে। রাজ্য সরকারও এব্যাপারে সচেষ্ট। পাশাপাশি, ব্যক্তিগত স্বার্থেই অধিকাংশ জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করছেন।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ভোটের পরে বিরোধী দলের যেসব জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করছেন, তারাই ভোটের সময় এলাকার ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে তৃণমূল দল এবং তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছিলেন। আর এখন তারা সেই মুখেই উল্টো কথা বলছেন ? এলাকার ভোটারদের কাছে এখন তারা কি জবাব দেবেন ? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন