সমকালীন প্রতিবেদন : বাংলাদেশ থেকে পণ্য খালাস করে ভারতের দিকে আসা খালি ট্রাকের বিভিন্ন অংশ থেকে মোট ৪৫ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হল, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকারও বেশি। সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই ট্রাকের চালককে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ট্রাকটিকেও।
সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকালে ডব্লিউবি–৪১ ই ৯৫৯৫ নম্বরের একটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশ থেকে পণ্য খালাস করে পেট্রাপোল সীমান্তের দিকে আসছিল। তারই মধ্যে বিশেষ সূত্রে বিএসএফের কাছে খবর আসে যে, ওই ট্রাকে করে প্রচুর পরিমাণে সোনার বিস্কুট পাচার করা হচ্ছে।
সেই খবরের ভিত্তিতে বিএসএফের ১৪৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানেরা ওই ট্রাকটিকে আটক করে তল্লাসী শুরু করে। প্রথমেই ট্রাকের হোস পাইপের কাছে একটি গোপন স্থান থেকে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় ২১ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেন।
এরপর দুপুরের দিকে ফের খবর আসে যে, ওই ট্রাকে আরও সোনার বিস্কুট রয়েছে। সেই অনুযায়ী একজন মেকানিককে এনে ইঞ্জিন খোলানোর পর সেখানে তল্লাসী চালিয়ে আরও ২৪ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। সব মিলিয়ে মোট ৪৫ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়।
উদ্ধার হওয়া বিস্কুটের ওজন প্রায় ৫২৪৩ গ্রাম। আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৭ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা। সোনার বিস্কুট পাচারের অভিযোগে আটক করা হয় ওই ট্রাকের চালক সম্রাট বিশ্বাসকে। তার বাড়ি পেট্রাপোল থানার পিরোজপুর গ্রামে।
বিএসএফের জেরায় সে জানায়, ট্রাক নিয়ে ভারতে ফেরার সময় বাংলাদেশের বেনাপোল পার্কিং এলাকায় সুমন মন্ডল নামে এক ব্যক্তি এই বিস্কুটগুলি দিয়ে সেগুলি বনগাঁর গোপালনগরের বাসিন্দা সালাম মন্ডল নামে এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছিল। এরজন্য তাকে মোটা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।
বিএসএফের গোয়েন্দা দপ্তর আরও জানতে পেরেছে যে, সালাম মন্ডলের পাশাপাশি পেট্রাপোল এলাকার সামাদ মণ্ডল, কুতুবুদ্দিন মন্ডলও সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। এরা জয়ন্তীপুরের আজগর শেখের হয়ে কাজ করে। এদিন আটক হওয়া সোনার বিস্কুট সহ ধৃত ট্রাক চালককে শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন