Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০২৩

বনগাঁর খুদে স্কুলছাত্র কুড়িয়ে পাওয়া দামী ফোন ফিরিয়ে সততার নজির রাখলো

 

An-example-of-integrity

সমকালীন প্রতিবেদন : রাস্তাঘাটে, ট্রেন, বাস থেকে মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটে। পুলিশের চেষ্টায় অনেকক্ষেত্রে সেই ফোন উদ্ধার করে ফোনের মালিককে সেই ফোন ফিরিয়ে দেওয়ার খবরও প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু এবারের ঘটনাটি সম্পূর্ণ আলাদা। এ এক নজিরবিহীন সততার ঘটনা।

মঙ্গলবার টিউশন পড়ে বাবার সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিল ছোট্ট মহম্মদ তৌসিফ মন্ডল। বনগাঁর চাঁপাবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা তৌসিফ বনগাঁ হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। এদিন সে বনগাঁর দত্তপাড়া এলাকায় টিউশন পড়তে গিয়েছিল।

দুপুর তখন ১২ টা। দত্তপাড়া রোড ধরে বাবার সাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ করেই তৌসিফ দেখতে পায় যে, তার সামনে একটি টোটোরিক্সায় বসে থাকা এক যাত্রীর প্যান্টের পকেট থেকে একটি মোবাইল ফোন পড়ে যায়। 

সাইকেল থেকে নেমে মোবাইল ফোনটি রাস্তা থেকে তুলে সে বাবাকে বলে, জোরে সাইকেল চালাতে। যার ফোন পড়ে গেছে, তাকে ফোনটি ফেরত দিতে হবে। সাইকেল চালিয়েও যখন টোটোর কাছাকাছি পৌঁছানো যাচ্ছিল না, তখন ওই খুদে ছাত্র সাইকেল থেকে নেমে টোটোর পেছনে দৌঁড়াতে থাকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত আর টোটোর নাগাল পায় না সে।

অবশেষে সে বাবাকে বলে যে, এখনই ফোনটি থানায় জমা করতে হবে। তার বাবা আগে বাড়ি পৌঁছে যার ফোন তাকে ফোন করে সেটি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বললেও সে কথা শুনতে রাজি হয় না তৌসিফ। ছেলের কথামতো এরপর তারা ফোনটি বনগাঁর সাইবার ক্রাইম থানায় গিয়ে জমা করেন।

থানায় থাকাকালীনই কুড়িয়ে পাওয়া ফোনটিতে একটি ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে থানার আইসি জানান যে, ফোনটি বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় রয়েছে। যার ফোন তিনি যেন উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে ফোনটি নিয়ে যান।

এর কিছুক্ষণ পর ফোনের মালিক দিবাকর মন্ডল থানায় এলে তার হাতে ফোনটি তুলে দেওয়া হয়। ফোনটি একটি নামী কোম্পানীর মূল্যবান ফোন। জানা গেছে, পরিবারের সদস্যদেরকে নিতে বনগাঁর মতিগঞ্জ এলাকায় এসেছিলেন ঠাকুরনগরের বাসিন্দা দিবাকর মন্ডল। টোটোতে করে বনগাঁ স্টেশনে যাওয়ার পথে প্যান্টের পকেট থেকে ফোনটি রাস্তায় পড়ে যায়।

ছোট্ট তৌসিফের এমন মানসিকতা দেখে তাকে খুব আশির্বাদ করেন বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার আইসি সুদীপ্ত রায়। তার এমন কাজে খুশি হয়ে তার হাতে বেশ কিছু উপহারও তুলে দেন তিনি। 

আর ফোনের মালিক দিবাকর মন্ডলের তো আবেগে চোখে জল চলে আসে। এমন ঘটনা তাঁকে যথেষ্ট অবাক করেছে। ছেলের এমন মানসিকতায় গর্বিত তৌসিফের বাবা মহম্মদ রফিক।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন