সমকালীন প্রতিবেদন : সমুদ্রের বুক ছুঁয়ে ওঠানামা করবে বিমান। এমনভাবে বিমানবন্দর এবং রানওয়ে তৈরি করা হচ্ছে নামার সময়ে বিমানযাত্রীদের মনে হবে, তাঁরা সাগরেই নামতে চলেছেন। এইভাবেই তৈরি করা হচ্ছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের কক্সবাজার বিমানবন্দর।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে উন্নতি করে চলেছে। তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অভিনব এই বিমানবন্দর নির্মাণ। একেবারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি হচ্ছে এই বিমানবন্দর। সেই দেশের নতুন এই বিমানবন্দরের রানওয়েও বাড়ানো হচ্ছে।
এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে ৯ হাজার ফুট থেকে সম্প্রসারিত হচ্ছে ১০ হাজার ৭০০ফুটে। সম্প্রসারিত রানওয়ের ১৩০০ ফুটই করা হচ্ছে সমুদ্রের ওপর। সমুদ্রের উপর ব্লক তৈরি করে তা করা হচ্ছে।
এইরকম প্রযুক্তিতে তৈরি এটাই বাংলাদেশের প্রথম বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের আধিকারিকেরা আরও জানিয়েছেন, রানওয়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালের কাজও চলছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই কাজ শেষ করা হবে। এটি হবে বাংলাদেশের দীর্ঘতম রানওয়ে।
ইতিমধ্যেই একটি নতুন এপ্রোন, কানেক্টিং ট্যাক্সিওয়ে এবং কার পার্কিং এরিয়ার কাজ শেষ করা হয়েছে। এই বিমানবন্দর তৈরির কাজ করছে চিনের একটি সংস্থা। তারা জানিয়েছে, নানা প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। তবে, নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
: ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :
কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের ম্যানেজার লি গুয়াংচি বলেন, 'সমুদ্রের ওপর এই রানওয়ে প্রকল্প। এই কাজটা খুব সহজ ছিল না। ২০২১ সালে কাজ শুরুর পর থেকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে আমাদেরকে। সেই সঙ্গে আছে সমুদ্রের ওপর ব্লক তৈরি করার কাজ।'
আধিকারিকেরা জানান, কয়েক মাসের মধ্যেই বিশ্বের দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরগুলির তালিকায় স্থান পেতে চলেছে কক্সবাজার বিমানবন্দর। তাঁরা জানান, সেখানের পরিকাঠামোগত নানা ঘাটতির জন্য সব ধরনের বিমান ওঠানামা করতে পারত না। বিদেশি পর্যটকদের কক্সবাজার আসতে হয় ঢাকা হয়ে। এবার সেই সমস্যা মিটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন