সমকালীন প্রতিবেদন : কাজ দেওয়ার নাম করে এক বাংলাদেশি নাবালিকাকে বলাৎকার করলো ৪ যুবক। অভিযোগ দায়ের হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্ত যুবকদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের আদালতে তোলা হল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কলকাতায় পরিচারিকার কাজ নেওয়ার নাম করে বাংলাদেশের ৩ নাবালিকাকে ভারতে নিয়ে আসে দালালেরা। প্রথমে বাংলাদেশি এক দালাল তাদেরকে চোরাপথে সীমান্ত পার করিয়ে দেয়।
১৭ আগস্ট উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা সীমান্ত দিয়ে পার হওয়ার পর তারা এসে পড়ে ভারতীয় এক দালালের হাতে। ওইদিন তাদের বাগদার হেলেঞ্চা এলাকার একটি নির্জন পোল্ট্রি ফার্মে নিয়ে রাখা হয়। কথা ছিল, তাদেরকে কলকাতায় পরিচারিকার কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
দালালদের কথায় ভরসা করে তাদের কথামতোই ওই ৩ নাবালিকা বাগদা এলাকায় আশ্রয় নেয়। এরপর রাতের দিকে ভারতীয় দালাল তার আরও ৩ সঙ্গীকে নিয়ে এসে নাবালিকাদের মধ্যে একজনকে গণধর্ষণ করে।
ওই নাবালিকাদের নির্জন এলাকায় অন্ধকারে অপেক্ষা করতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারাই বাগদা থানায় খবর দেন। এরপর পুলিশ গিয়ে ৩ বাংলাদেশি নাবালিকাকেই সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
পরদিন দুপুরে অত্যাচারিতা ওই নাবালিকা বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৪ যুবককে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম সনজ বৈরাগী, প্রমথ মন্ডল, হিরো দাস এবং প্রদীপ বিশ্বাস।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি বাগদা থানা এলাকায়। পকসো আইনে মামলা রুজু করে শনিবার ধৃতদের বনগাঁ আদালতে তোলা হয়। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন