সমকালীন প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত এলাকায় ভোট। আর তার আঁচ এসে পড়লো পুরসভা এলাকায়। প্রতিদিন সকাল থেকে যেখানে বনগাঁ শহর জমজমাট হতে শুরু করে, সেখানে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অনেকটাই শুনশান থাকলো বনগাঁ শহর। আর এর কারণ পঞ্চায়েত ভোট।
চিকিৎসা থেকে শুরু করে বাজারঘাট, কলকাতায় যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরা– এই সবকিছুর জন্যই গ্রামাঞ্চল থেকে বনগাঁ শহরমুখি হন হাজার হাজার মানুষ। আর যার কারণে প্রতিদিন সকাল থেকেই বনগাঁ শহরের রাস্তা জনবহুল হয়ে থাকে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরের হাল এমন হয়ে দাঁড়ায়, যখন হেঁটে যাতায়াত করাও অনেকসময় কঠিন হয়ে পড়ে। সেই জায়গায় শনিবার শহরের প্রায় সমস্ত রাস্তাঘাট কার্যত শুনশান ছিল। যেমন কম দেখা গেছে যানবাহনের, তেমনই যাত্রীদেরও সেভাবে দেখা মেলে নি।
বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের একটা বড় অংশ গ্রামের। যার কারণে হাসপাতাল সংলগ্ন চাকদা রোড সকাল থেকেই জমজমাট থাকে।
এদিন চিত্রটা ছিল সম্পূর্ণ বিপরিত। যেমন কম ছিল অটো–টোটোর সংখ্যা, তেমনই দেখা মেলে নি যাত্রীদের। যাত্রী পাওয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় টোটো চালকদের।
বনগাঁর প্রতাপগড় মাঠের একপাশেই চাকদা রোড। এই রোডের একটি ধার থেকে গোপালনগর, বাগদা এলাকায় একাধিক রুটে অটোরিক্সা যাতায়াত করে। প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ এই অটোরিক্সা করে এই রুটগুলিতে যাতায়াত করেন। আর এদিন সেই যাত্রী পেতে হিমশিম খেতে হয় অটোচালকদেরও। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় অটোর যাত্রীদের।
অন্যান্য দিন বনগাঁ শহরের বাগদা রোড, চাকদা রোড, যশোর রোড, ত্রিকোন পার্ক এলাকা যখন সকাল থেকেই মানুষের উপস্থিতিতে জমজমাট থাকে, সেখানে এদিন এই সমস্ত এলাকা ছিল অনেকটাই ফাঁকা ফাঁকা। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ভিন্ন চিত্র দেখা গেল বনগাঁ শহরের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন