সমকালীন প্রতিবেদন : বুধবার দুপুরে বনগাঁ থানা সংলগ্ন ইছামতী নদীর ঘাট থেকে উদ্ধার হওয়া দুই মৃত শিশুর পরিচয় অবশেষে জানতে পারলো পুলিশ। মৃতদের নাম দেবব্রত ঘোষ এবং সোনালী ঘোষ। দেবব্রতর বয়স ৩ বছর, আর সোনালীর বয়স ৫ বছর। সম্পর্কে তারা ভাই–বোন। বাড়ি বাগদা থানার সিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েতের বগুলা গ্রামে।
মৃত শিশুদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৮ বছর আগে ওই গ্রামের যুবক বলরাম ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয় মালতী সাঁতরার। বলরাম শ্রমিকের কাজ করেন। আর মালতী ঘরের কাজ সামলান। আত্মীয়–স্বজনদের সঙ্গে তেমন সম্পর্ক ছিল না তাদের। ফলে তারা নিজেদের মতো থাকতেন।
বেশ কিছুদিন আগে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন মালতী। চিকিৎসার পর বর্তমানে সুস্থ আছেন। অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার সকালে কাজে বেড়িয়ে যান বলরাম। বাড়ির কাজ সেরে ঘরে স্বামীর খাবার ঢাকা দিয়ে দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে তালা দিয়ে বেড়িয়ে পরেন মালতী।
এরপর থেকে মালতী এবং তার দুই সন্তানের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায় নি। আত্মীয়–পরিজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও তাদের সন্ধান মেলে নি। অবশেষে বুধবার বিকেলে পুলিশের মাধ্যমে বলরাম জানতে পারেন যে, তার দুই সন্তানের মৃতদেহ পাওয়া গেছে বনগাঁ থানা সংলগ্ন ইছামতী নদীর ঘাটে।
খবর পেয়েই পরিবারের লোকেরা বনগাঁ থানায় এসে উপস্থিত হন। পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। এদিনের ঘটনার বিষয়ে বলরাম ঘোষের অনুমান, তার সন্তানদের জলে ডুবিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা এই কান্ড ঘটিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালের পর থেকে এখনও কোনও খোঁজ মেলে নি মৃত শিশুদের মা মালতী ঘোষের। তার এই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পেছনে কী কারণ রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, মালতী ঘোষের সন্ধান মিললেই এই দুই শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর আসল কারণ প্রকাশ্যে চলে আসবে। পুলিশ এখন মালতীর সন্ধান চালাচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন