সমকালীন প্রতিবেদন : মোটা বেতনের কাজ দেওয়ার নাম করে দুবাইতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এই রাজ্যের ৪৫ জনকে। সেখানে তাদের পাসপোর্ট আটকে রেখে কোনও কাজ দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি, খাওয়ার টাকাও দেওয়া হচ্ছে না। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন ওই ব্যক্তিরা। দেশে ফিরে আসার জন্য বিভিন্নজনের দ্বারস্থ হচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, নদীয়া জেলার হাঁসখালি এলাকার নাজমুল ধাবক নামে এক ব্যক্তি দুবাইতে দৈনিক ১৪০০ টাকা বেতনে কোম্পানীতে কাজ দেওয়ার নাম করে ১ মাস ১০ দিন আগে উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, কোচবিহার ইত্যাদি জেলার মোট ৪৫ জনকে দুবাইতে নিয়ে যায়।
এই কাজ দেওয়ার জন্য এক একজনের কাছ থেকে ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। দুবাইতে পৌঁছানোর পর আরিফ নামে নাজমুলের এক এজেন্ট তাদেরকে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে তোলা। এরপর একাধিক দিন ইন্টারভিউয়ের নাম করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গেলেও কোনও কাজ দেয় না।
এভাবেই দিনের পর দিন কেটে যায়। শেষে তাদের সবার পাসপোর্ট নিয়ে তাদের খাওয়ার জন্য টাকা দেওয়াও বন্ধ করে দেয়। এই অবস্থায় তারা সেখানে একপ্রকার অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৫ জন অসুস্থ হয়ে পরলেও তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।
তারা পাসপোর্ট ফেরত চাইলে তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে টাকা চাওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় তারা সেখানকার পুলিশ এবং ভারতীয় দুতাবাসে যোগাযোগ করেও সুরাহা পাচ্ছেন না। তারা এখন চান, যেভাবেই হোক পশ্চিমবঙ্গ সরকার বা ভারত সরকার তাদের যেন দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে।
দুবাইতে আটকে পড়া ওই ব্যক্তিরা জানতে পেরেছেন, এর আগেও নাজমুল এবং তার লোকজনেরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে এভাবে কাজ দেওয়ার নাম করে দুবাইতে এনে মোটা টাকা প্রতারণা করে বিপদে ফেলেছে অনেককে। এব্যাপারে দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন