সমকালীন প্রতিবেদন : ভারতের অন্যতম পরিবহন মাধ্যম হল ট্রেন। ভারতের এই ট্রেন পরিষেবাকে দেশের লাইফলাইন হিসেবে বলা হয়ে থাকে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করেন। সমস্ত ভারতে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে আছে ট্রেনের লাইন।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা যে সামান্য ট্রেনলাইন যুক্ত ভারতকে ছেড়ে গিয়েছিল, তারপরে ভারত নিজের উদ্যোগে বেশ কয়েক হাজার মাইল ট্রেন লাইনের বিস্তার ঘটিয়েছে। তাই ভারতীয় ট্রেন লাইন এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তর ট্রেন লাইন।
বর্তমানে ভারতে মোট রাজ্যের সংখ্যা ২৮টি। এছাড়া ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে। এই ২৮টি রাজ্যের মধ্যে ১৩টি রাজ্যের ওপর দিয়েই যাতায়াত করে এই ট্রেনটি- যার নাম 'নবযুগ এক্সপ্রেস'। সত্যিই এই ট্রেন যেন নতুন যুগের সূচনা করে।
মনে হতে পারে দেশের সবচেয়ে লম্বা রুটের ট্রেনই সবচেয়ে বেশি রাজ্যের ওপর দিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তব তা নয়। রুট তার চেয়ে ছোট হলেও এই ট্রেনটি ১৩টি রাজ্যের ওপর দিয়ে যাতায়াত করে। এই ১৩টি রাজ্যের মধ্যে অবশ্য ট্রেন দাঁড়ায় ১২ টি রাজ্যে।
সমস্ত রাজ্যের মানুষের ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন সংস্কৃতি মিলিয়ে এই ট্রেনটি যথার্থ ভারতের প্রতীক। মেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল থেকে ট্রেনটি যায় শ্রীমাতা বৈষ্ণোদেবী কাটরা পর্যন্ত। এই রুটেই এর যাতায়াত। যাত্রাপথে ১৩টি রাজ্যকে স্পর্শ করে ট্রেনটি।
ট্রেনটি কর্ণাটক থেকে ছেড়ে চলে যায় কেরালা। তারপর কেরালা থেকে তামিলনাড়ু হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ। সেখান থেকে মহারাষ্ট্র। এরপর মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ হয়ে পৌঁছয় জম্মু কাশ্মীর।
এই ১৩টি রাজ্যের মধ্যে ১২টি রাজ্যের স্টেশনে দাঁড়ায় এই 'নবযুগ এক্সপ্রেস'। তবে হিমাচল প্রদেশের ওপর দিয়ে গেলেও সেখানকার কোথাও ট্রেনটি দাঁড়ায় না। এমন বহু রাজ্য অতিক্রম করার মতো আর কোনও ট্রেন ভারতে নেই। বিষয়টি সত্যিই ব্যতিক্রমী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন