সমকালীন প্রতিবেদন : ভারতের অঙ্কের মেধা চিরকাল খুবই ভালো। এ বছর যেন সব ছড়িয়ে গেলো। আন্তর্জাতিক ম্যাথ অলিম্পিয়াডে ফের প্রথম দশে জায়গা করে নিল ভারত। ভারতের তরফে এবারের অলিম্পিয়াডে ছয় প্রতিযোগী অংশ নেয়।
জাপানের চিবায় সম্প্রতি আয়োজিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক ম্যাথ অলিম্পিয়াড। সেখানেই দুটি স্বর্ণ পদক, দুটি রৌপ্য পদক এবং দুটি ব্রোঞ্জ পদক জিতে নেন ভারতের ছয় প্রতিযোগী। সব মিলিয়ে ১১৮টি দেশের প্রতিযোগীরা এই অলিম্পিয়াডে অংশ নেন।
তাদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়েই নবম স্থান অর্জন করল ভারত। দেশের সাফল্যে সকলেই খুব খুশি। ম্যাথ অলিম্পিয়াডের জাতীয় কোঅর্ডিনেটর পৃথ্বীজিৎ দে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই নিয়ে চতুর্থবার প্রথম দশে জায়গা করে নিল ভারত।
এর আগে ১৯৯৮ ও ২০০১ সালে সপ্তম স্থান অধিকার করেছিল ভারত। ২০০২ সালে নবম স্থান অর্জনের পর চলতি বছরে অবার সেই স্থানেই জিতে নিল ছয় প্রতিযোগী। এর পাশপাশি দুটি স্বর্ণ পদক আনার ব্যাপারেও ভারত এবার চতুর্থ।
১৯৯৮ সালে তিনটি সোনার পদক, ২০০১ ও ২০১২ সালে দুটি স্বর্ণ পদক জয় করেছিলেন ভারতের প্রতিযোগীরা। চলতি বছরেও দুটি স্বর্ণ পদক জিতে নিল ভারত। এই দিন স্বর্ণ পদক জয়ীদের নামও প্রকাশ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক ম্যাথ অলিম্পিয়াডের সাইটে।
সেই তালিকায় স্বর্ণ পদক জয়ী হয়েছে বেঙ্গালুরুর অতুল শতবর্ত নাদিগ। মোট ৪২ নম্বরের প্রতিযোগিতায় ৩৭ পেয়েছেন তিনি। নয়া দিল্লির অর্জুন গুপ্ত একই নম্বর পেয়ে জিতে নিয়েছেন স্বর্ণ পদক। রৌপ্য পদক জয়ীদের তালিকায় রয়েছেন অসমের গুয়াহাটির আনন্দ ভাদুড়ি। ৪২ নম্বরের মধ্যে ২৯ পেয়েছেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়, মহারাষ্ট্রের পুণের সিদ্ধার্থ চোপাড়াও একই নম্বর পেয়ে জিতে নিয়েছেন রৌপ্য পদক। ব্রোঞ্জ পদক জয়ীদের তালিকায় রয়েছেন মহারাষ্ট্রের পুণের আদিত্য মাঙ্গুডি ভেঙ্কট গনেশ। ৪২ এর মধ্যে ২২ নম্বর পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, আর এক ব্রোঞ্জ পদক জয়ী অর্চিত মানস ৪২ এর মধ্যে ২০ নম্বর পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের ছয় প্রতিযোগীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ম্যাথ অলিম্পিয়াডে গিয়েছিলেন হোমি ভাবা সেন্টার ফর সায়েন্স এডুকেশনের পৃথ্বীজিৎ দে। চেন্নাই ম্যাথেমেটিকাল ইনস্টিটিউটের সাহিল মাস্কর, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার অনন্ত মুদগল এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রাঞ্জল শ্রীবাস্তব। ভারতের এই সাফল্যে তারা সকলেই খুব খুশি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন