সমকালীন প্রতিবেদন : ট্রেনের বিপত্তি যেন কাটতেই চাইছে না। করমন্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার স্মৃতি এখন তরতাজা। আর তারইমধ্যে হাওড়া থেকে সেকেন্দ্রাবাদগামী ফলকনামা এক্সপ্রেসে বড়সড় আগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলো। কয়েক মিনিটের মধ্যেই কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় চারিদিক। খবর ছড়িয়ে পরতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ট্রেনের যাত্রীরা।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে এই বিপর্যয় ঘটে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের জেরে চলন্ত ট্রেনে আগুন লেগে গেছে। তবে দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে সমস্ত রেলযাত্রীকেই নিরাপদে ট্রেন থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। কোনো হতাহতের খবর এখন পর্যন্ত নেই।
যদিও এই অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ফলকনামা এক্সপ্রেসের চারটি কামরা। তারমধ্যে দুটি কামরা সম্পূর্ণ ভষ্মিভূত। রেল সূত্রে জানা গেছে, হাওড়া থেকে সেকেন্দ্রাবাদ যাওয়ার পথে পগিদিপল্লী-বোম্বাইপল্লী স্টেশনের কাছে ফলকনামা এক্সপ্রেসে আচমকাই আগুন ধরে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে একাধিক কামরা।
বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি এখনও সকলের মনে তাজা। তার মধ্যেই এই ফলকনামা এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ফলকনামা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। দ্রুত খবর পৌঁছয় রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্ট জারি করা হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পগিদিপল্লী-বোম্বাইপল্লী স্টেশনে ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দ্রুত নামিয়ে আনা হয় সকল যাত্রীদের। তার আগে অবশ্য অনেক যাত্রীই ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়েন। আগুন লাগার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কালো ধোঁয়া গ্রাস করে ট্রেনটিকে। ভয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে।
: এই সংক্রান্ত ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :
এস ৪ থেকে এস ৭– এই ৪ টি কামরা আগুনে জ্বলে গেছে বলে খবর। তারমধ্যে দু'টি কামরা আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার অরুণ কুমার জৈন। এর আগেও ২০১৯ সালে হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনামা এক্সপ্রেসে আগুন ধরে গিয়েছিল। সাঁতরাগাছি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকার সময়েই আগুন লাগে এই এক্সপ্রেস ট্রেনে। ভস্মীভূত হয়ে যায় ট্রেনের রেক।
উল্লেখ্য, গত ২ জুন ওডিশার বালেশ্বরে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটে। বাহানাগা বাজার স্টেশনে লুপ লাইনে চলে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মালগাড়ির উপর উঠে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। পাশাপাশি অপর একটি বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। ঘটনায় ২৯৩ জনের মৃত্যু হয়। স্বাভাবিক কারণেই রেল পরিষেবা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন