সমকালীন প্রতিবেদন : আজ সকাল ৮ টা থেকে শুরু হল রাজ্যের দশম ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা। রাজ্যের ৩৩৯ টি কেন্দ্রে এই ভোট গণনা হচ্ছে। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই গণনা কেন্দ্রগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজ্যের ২২ টি জেলার জেলা পরিষদের ৯২৮ টি আসনে ভোট হয়েছে। ৩৪১ টি পঞ্চায়েত সমিতির ৯৭৩০ টি আসনে ভোট হয়েছে। আর রাজ্যের ৩৩১৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৩২৮৩ টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। আর এই সমস্ত আসনের ভোট গণনা হচ্ছে আজ।
প্রতিটি স্তরে ২ রাউন্ড করে গণনা হবে। সবার প্রথমে হবে ইডি ভোট অর্থাৎ ভোটকর্মীদের দেওয়া ভোটের গণনা। আর তারপর শুরু হবে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের গণনা। দুপুর ১ টার মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের ভোট গণনা শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের গণনার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর গণনা কেন্দ্রে উপস্থিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের গণনা কেন্দ্র থেকে বাইরে বের করে দিয়ে পঞ্চায়েত সমিতি স্তরের ভোট গণনার কাজ শুরু হবে। একইভাবে এই পর্যায়ের গণনার কাজ শেষ হলে জেলা পরিষদ স্তরের ভোট গণনার কাজ শুরু হবে। সব মিলিয়ে চুড়ান্ত ফল পেতে ১২ জুলাই হয়ে যাবে।
এদিকে, বনগাঁ মহকুমার ৩ টি ব্লকের মোট গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে ৩৮ টি। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে আসন সংখ্যা ৮২৪ টি, পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ১১৪ টি এবং জেলা পরিষদ স্তরের আসন সংখ্যা ৯ টি। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দল মিলিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ স্তরে প্রার্থী রয়েছেন যথাক্রমে ২৭০৫, ৩৯৬ এবং ৪৩ জন।
বাগদা ব্লকের ভোট গণনা হচ্ছে বাগদার হেলেঞ্চা হাইস্কুলে। বনগাঁ ব্লকের গণনা কেন্দ্র বনগাঁর দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় এবং গাইঘাটা ব্লকের ভোট গণনা হচ্ছে গাইঘাটার চাঁদপাড়া পলিটেকনিক কলেজে। এদিন গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের সময়েই চরম অব্যবস্থার অভিযোগ তুললেন কতিপয় ভোটকর্মী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন